দীর্ঘ ১২বছর পর সর্বভারতীয় ট্রফি জেতার হাতছানি। সুপার কাপের (Super Cup 2024) ফাইন্যাল রবিবার মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল-ওড়িশা এফসি (East Bengal VS Odisha FC)। সেই ম্যাচের আগে পুরীর জগন্নাথ দেবের প্রসাদী খাজা পৌঁছে গেল লাল-হলুদ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের (Carles Cuadrat) কাছে। যে কোনও মূল্যেই এই ট্রফি জিততে মরিয়া ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। দীর্ঘদিন ট্রফি না পাওয়ায় আর লাগাতার খারাপ ফলের জেরে বারেবারে কটাক্ষের সামনে পড়তে হয়েছে সমর্থকদের। তবে এই মরসুমের শুরু থেকেই আশার আলো দেখাচ্ছেন কোচ কুয়াদ্রাত ও তাঁর ছেলেরা।
প্রথমে ডুরান্ড কাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানকে হারিয়ে দিয়ে যে যাত্রা শুরু হয়েছিল তা এখনও চলছে। ধারে ভারে অনেক শক্তিশালী মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ডুরান্ড ফাইনাল হারতে হলেও আইএসএল-এ যত সময় গড়িয়েছে ততই শক্তি বেড়েছে মশাল বাহিনীর। প্রথম পর্বের পর সুপার কাপেও দারুণ ছন্দে ইস্টবেঙ্গল। ছয় বিদেশীকে দলে পেয়ে আরও উজ্জ্বল ইস্টবেঙ্গল। গ্ৰুপ পর্বে হায়দরাবাদ ও শ্রীনিধি ডেকান এফসিকে হারিয়ে দেওয়ার পর ডার্বি জিতে সেমিফাইনালে উঠেছিল ইস্টবেঙ্গল। খালিদ জামিলের জামশেদপুর এফসিকে ২গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে তারা। এবার ফাইনাল জিতে ট্রফি খরা কাটাতে মরিয়া ফুটবলররা। সমর্থকরাও উদগ্রীব রবিবারের জন্য। সেই জন্যই পুরী থেকে এল খাজা।
দলে যোগ দিলেন দুই তারকা
ইস্টবেঙ্গল দলে যোগ দিলেন ভারতীয় দলের দুই ফুটবলার নাওরেম মহেশ সিং ও লালচুংনুঙ্গা। দুই নির্ভরযোগ্য ফুটবলার যোগ দিচ্ছেন দলে। এএফসি এশিয়ান কাপে দেশের হয়ে খেলার জন্য কাতারে ছিলেন মহেশ আর নুঙ্গা। কলকাতায় ফিরে শুক্রবার ইস্টবেঙ্গল শিবিরে যোগ দিলেন মহেশ আর লালচুননুনগা। তবে দলের উইনিং কম্বিনেশন কি ভাঙবেন কার্লেস? সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। তবে েই দুই তারকার যোগ দেওয়া প্রতিপক্ষ কোচ সের্জিও লোবেরাকে যে কিছুটা হলেও চিন্তায় রাখবে তা বলাই যায়।
ছয় বছর আগেও সুপার কাপের ফাইনালে উঠেছিল ইস্টবেঙ্গল। বেঙ্গালুরুর কাছে সেবার হারে লাল-হলুদ। এ বার অধরা ট্রফি জিতেই শহরে ফিরতে চায় ইস্টবেঙ্গল।