বাংলাদেশের ক্লাব বসুন্ধরা কিংস (Basundhara Kings) থেকে ব্রাজিলিয়ান লেফট উইঙ্গার রবসন রবিনহোকে (Robson Robinho) সই করাতে ঝাঁপাল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। দুই বছরের জন্য রবিনহোর সঙ্গে চুক্তি করতে চাইছে লাল-হলুদ ক্লাব। এবারে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু কোয়ালিফায়ার খেলবে কার্লেস কুয়াদ্রাতের (Carles Cuadrat) দল। ১৪ আগস্ট সেই ম্যাচ। পরের রাউন্ডে যেতে ঘরের মাঠে সেই ম্যাচ জিততে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। তাই স্ট্রাইকিং লাইনের শক্তি আরও বাড়িয়ে নিতে চাইছে তারা।
বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসে খেলা রবিনহো রবসনের সঙ্গে কথা অনেকদিন ধরেই বলছিলেন ইমামি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। শোনা গিয়েছিল তাঁকে রাজি করাতে লন্ডনে গিয়েছিলেন কর্তারা। তাও সেটা গত মরসুম শেষের আগেই। তারপর শোনা যায়, ইস্টবেঙ্গলে তিনি আসছেন না। বাংলাদেশের নানা সংবাদমাধ্যমেও এমনটাই জানানো হয়েছিল। তবে আসরে শুধু ইস্টবেঙ্গল নয়, রয়েছে আরও অন্যান্য আইএসএল ক্লাব। আসলে এএফসি কাপে আট বিদেশি খেলানো যায়। ছয় বিদেশি মোটামুটি ঠিক হয়ে গেলেও, সপ্তম বিদেশিকেও চূড়ান্ত করে ফেলতে চাইছে লাল-হলুদ। ১৫ ম্যাচে তাঁর গোলসংখ্যা আট আর অ্যাসিস্ট ১১টি। একজন উইঙ্গারের এত গোল আর এত অ্যাসিস্ট সাধারণ ভাবে দেখা যায় না।
আগেই ক্লেইটন সিলভার পাশাপাশি দিমিত্রিয়াস ডিমানটাকোসকে সই করিয়ে নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। এর সঙ্গে রবিনহো যোগ দিলে আক্রমণ ভাগের সমস্যা মিটে যাবে লাল-হলুদ রিক্রুটারদের। এরপর আরও এক বিদেশি নিতে পারবে লাল-হলুদ। ডিফেন্সে হিজাজি মাহের রয়েছেন। তাঁর সঙ্গে আরও একজন ডিফেন্ডার সই করাতে পারলে আরও ভাল হবে লাল-হলুদ দলের। জর্ডন এলসে না হলে স্পেন থেকে আরও একজন ডিফেন্ডার নিয়ে আসবেন কার্লেস।
ছয় বিদেশি কারা?
আগেই মিডফিল্ডে সল ক্রেসপোর সইয়ের কথা জানিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। তাঁর সঙ্গে থাকছেন মাদিয়া তালাল। দুই স্ট্রাইকার ক্লেইটন সিলভা ও দিমিত্রিয়াস ডিমানটাকোস। আর ডিফেন্সে হিজাজি মাহের। এর সঙ্গে ভারতীয় ব্রিগেডও বেশ শক্তিশালী। এই দলে আরও একজন ভাল ডিফেন্ডার যোগ দিলেই দলের ভোল বদলে যাবে। এ মরসুমে ফুটবলার সই করানোর ক্ষেত্রে দারুণ কাজ করেছে ইমামি ও ইস্টবেঙ্গল ক্লাব জুটি।