নিখিল পূজারি কি ইস্টবেঙ্গলে (East Bengal)? শেষ মুহূর্ত অবধিও মুম্বই সিটি এফসি-র (Mumbai City FC) সঙ্গে জোর টক্কর চলছে লাল-হলুদের। লড়াইয়ে ঢুকে পড়েছে বেঙ্গালুরু এফসিও (Bengaluru FC)। তবে সূত্রের খবর সর্বশক্তি লাগালেও ইস্টবেঙ্গলে নাও যেতে পারেন হায়দরাবাদের (Hyderabad FC) এই ফুটবলার। কারণ, ট্রান্সফার ব্যান থাকায় হায়দরাবাদ এফসি থেকে কোনও ফুটবলার সই করাতে ১ কোটি টাকা দিতে হবে। সেই টাকার লড়াইয়ে কিছুটা হলেও পিছিয়ে পড়ছে লাল-হলুদ।
হিতেশ শর্মাও সই করলেন ওড়িশার এফসিতে। যদিও সিভেরিওকে ধরে রেখেছে লাল হলুদ বাহিনী। দীর্ঘ ১২ বছর পর কোনও জাতীয় স্তরের ট্রফি জিতেছে ইস্টবেঙ্গল। স্বভাবতই দলে উৎসবের আমেজ। কোচ থেকে ফুটবলার সবাই মেতেছেন উৎসবে। ওড়িশা থেকে ফিরে আসার সময় কলকাতা বিমানবন্দরে সমর্থকদের বিরাট অভ্যর্থনা পেয়েছে গোটা লাল হলুদ দল।
কিন্তু সমস্ত আনন্দের মাঝে কিছুটা হলেও বিষাদের সুর ইস্টবেঙ্গলে। সুপার কাপ জেতার পরেই লাল হলুদ ছেড়ে লোনে এফসি গোয়াতে সই করেছেন ইস্টবেঙ্গল তারকা বোরহা হেরেরা। সুপার কাপ ফাইনালে ওড়িশা এফসিকে ৩-২ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ইস্টবেঙ্গল। সেই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন বোরহা।
এই প্রসঙ্গে তিনি স্যোশাল মিডিয়াতে সমস্ত লাল হলুদ ভক্তদের উদ্দেশ্যে আবেগঘন মুহূর্ত শেয়ার করেছেন। তিনি লিখেছেন, 'বিগত কয়েক মাস কঠিন হলেও আমরা তার ফল পেয়েছি। আমার যা কিছু ছিল সব আমি উজাড় করে দিয়েছি মাঠে, নিজের একশো শতাংশ দিয়েছি। ১২ বছর পর ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ট্রফি জিততে পেরে আমি খুশি। কিন্তু এটাই ফুটবল। কেউ চলে যায়, আবার কেউ নতুন আসে। আমি আবার ধন্যবাদ জানাতে চাই। দলের বাকিদের সমর্থন করতে থাকুন। এরা আপনাদের আরও আনন্দ দেবে ভবিষ্যতে, এই লাল হলুদ জার্সিটার জন্য এরা সবকিছু উজাড় করে দিতে প্রস্তুত। আমি নিশ্চিত যে ভবিষ্যতে আমাদের পথ আবার লাল হলুদে মিলিত হবে। তুমি সবসময় আমার হৃদয়ে থাকবে! ধন্যবাদ 'আমাগো ভক্তরা', ধন্যবাদ ইস্টবেঙ্গল।'