ফের ইস্টবেঙ্গলে (East Bengal) সই করতে পারেন দেবজিৎ মজুমদার (Debjit Majumder)। চেন্নাইয়েন এফসি-র এই গোলকিপারকে ইতিমধ্যেই প্রস্তাব পাঠিয়ে দিয়েছে লাল-হলুদ। এমনটাই সূত্রের খবর। পাশাপাশি জামশেদপুর এফসির প্রভাত লাকড়া (Provat Lakhra) এবং হায়দরাবাদ এফসির মার্ক জোথানপুইয়া (Mark Zothanpuia) বড়সড় অঘটন না ঘটলে ইস্টবেঙ্গল জার্সি পরছেন। মহমেডানের রেমসাঙ্গাকেও টার্গেট করেছে ইস্টবেঙ্গল। এই মরসুমের আশা আপাতত শেষ হলেও, পরের মরসুমের জন্য দল গঠনের কাজ শুরু করে দিয়েছেন কার্লেস কুয়াদ্রাতরা।
ক্লেইটন সিলভাকে রাখতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল?
৩৯ বছর বয়সে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে কী খেলতে পারবেন ক্লেইটন? তা নিয়ে সমর্থকরা কছুটা হলেও দ্বিধায় ছিলেন। তবে সূত্রের খবর পরের মরসুমেও তাঁকে রেখে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন কোচ কার্লেস। এই মরসুমে ১৩টি গোল করা স্ট্রাইকারকে কোনো ভাবেই ছেড়ে দিতে রাজি নন। শুধু বয়সের কথা ভেবে ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকারকে ছাড়তে নারাজ লাল-হলুদ। সমস্ত কিছু ঠিক থাকলে সল ক্রেসপোকেও পরের মরসুমের জন্য সই করানো হচ্ছে। মহামেডানের ডেভিড ইস্টবেঙ্গলের প্রি-কন্ট্রাক্টে সই করেছেন। তবে সাদা-কালো শিবির তাঁকে যে কোনওভাবেই হোক ধরে রাখতে মরিয়া।
এবারের ISL-এর আশা শেষ ইস্টবেঙ্গলের
পঞ্জাব এফসি-র বিরুদ্ধে ৪-১ গোলে হেরে এবারের আইএসএল থেকে বিদায় নিল ইস্টবেঙ্গল। প্লে অফে যেতে হলে এই ম্যাচ জিততেই হত লাল-হলুদকে। পাশাপাশি অপেক্ষা করতে হত রবিবার অবধি। ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ হেরে যাওয়ায় কোনও সম্ভাবনাই আর থাকল না। ম্যাচের ১৯ মিনিটেই ১-০ গোলে এগিয়ে যায় পঞ্জাব। তবে সেই এগিয়ে থাকা খুব বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। দুরন্ত শটে গোল করেন সায়ন বন্দোপাধ্যায়।
প্রথমার্ধের শেষদিকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ম্যাচের নায়ক তালাল। তবে এক্ষেত্রে খাবরা ও কমলজিৎ তাদের দায় এড়াতে পারেন না। ডান দিক থেকে কার্যত বিনা বাধায় ঢুকে গিয়ে গোল করে আসেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধ করতে মরিয়া ইস্টবেঙ্গলের ফাঁকা ডিফেন্সের সুযোগ কাজে লাগান তালাল। একাই ছারখার করে দেন তিনি। আরও একটি গোল করান তিনি। ফলে ম্যাচে ৪-১ গোলে হেরে বিদায় নিল ইস্টবেঙ্গল। প্লে অফে চলে গেল চেন্নাইয়েন এফসি। ইস্টবেঙ্গল সদস্যদের আক্ষেপ তালাল শেষ ম্যাচে এমনটা কেন করলেন। তবে তিনি যে চরম পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছেন তা এক কথায় শিকার করছেন সকলেই।