আপুইয়াকে প্রস্তাবই দেয়নি মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট (Mohun Bagan Super Giant)। ফলে লড়াইয়ে শুধুমাত্র ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। মোহনবাগান টিম ম্যানেজমেন্টের দাবি, তিন ভারতীয় ফুটবলারকে ছেড়ে দিতে হলেও, তাঁরা নতুন করে কোনও ভারতীয় ফুটবলারকে সই করাবে না। অ্যাকাডেমির ফুটবলারদের তুলে আনার লক্ষ্যেই এই তিন ফুটবলারের বদলি খুঁজছে না মোহনবাগান।
আপুইয়াকে ইস্টবেঙ্গল প্রস্তাব দিয়েছে এমন খবর প্রকাশিত হতেই, শোনা গিয়েছিল মোহনবাগানও নাকি তাঁকে দলে নিতে চাইছে। তবে সেই খবর একেবারেই সত্যি নয় এমনটাই মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট সূত্রের খবর। ২০২১ সালে আপুইয়াকে বেঙ্গালুরুতে নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন সুনীল ছেত্রীদের তৎকালীন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। এই মরসুমে ভাল দল গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন লাল-হলুদ কর্তারা। গত মরসুমে আপুইয়া একটা গোল ও দু'টি অ্যাসিস্ট করেছেন। এর আগে আরও এক মুম্বইয়ের ফুটবলার ভিনিথ রাইকেও দলে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল লাল-হলুদ। তবে সেই চেষ্টা সফল হয়নি বলেই সূত্রের খবর। এরপর আপুইয়াকে দলে নিতে পারলে ইস্টবেঙ্গল যে শক্তিশালি হবে তা বলাই যায়। সউল ক্রেসপো সৌভিক চক্রবর্তী আগে থেকেই রয়েছেন মিডফিল্ডে। তাঁদের সঙ্গে তরুণ এই তারকা যোগ দিলে মিডফিল্ডে দখল বাড়বে ইস্টবেঙ্গলের।
নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের হয়ে আইএসএল-এ অভিষেক হয় আপুইয়ার। সেখান থেকে মুম্বই সিটি এফসিতে আসেন তিনি। এর মধ্যেই আপুইয়া জায়গা করে নিয়েছেন ভারতীয় দলেও। ১৩টা ম্যাচ খেলেছেন ইগর স্টম্যাচের কোচিং-এ। সেন্ট্রাল মিডফিল্ড ছাড়াও অ্যাটাকিং মিডফিল্ড, ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে খেলতে পারেন তিনি। ফলে এতে দারুণ সুবিধা হবে লাল-হলুদ ক্লাবের।
ইমামির সঙ্গে বৈঠকের পর ক্লাব কর্তা দেবব্রত সরকার জানান, আমরা ভাল দল করার বিষয়ে আশাবাদী। কোচের সঙ্গে আলোচনা করেই আমরা দল করছি। ওনার পছন্দের বিদেশির সঙ্গেই কথা বলা হচ্ছে। আমরা একজোট হয়ে এগোচ্ছি। জোরকদমে কাজ চলছে। অধিকাংশ দলই ঠিক হয়ে গিয়েছে। ৪-৫ জনকে নেওয়া বাকি। ১৫ জুনের মধ্যে দল গঠনের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে ফেলবো।' শোনা যাচ্ছে, দুই উইঙ্গার, এক মিডফিল্ডার ও এক ডিফেন্ডারকে সই করানো বাকি রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের।