জয়ে ফিরল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (Emami East Bengal)। কলকাতা লিগের (Kolkata League) চতুর্থ ম্যাচে আটকে গিয়েছিল লাল-হলুদ। তবে পুলিশ এসি-র (Police AC) বিরুদ্ধে জয় পেল তারা। জিততে হবে এই চিন্তা নিয়েই মাঠে নেমেছিল বিনো জর্জের (Bino George) দল। শুরু থেকেই আক্রমণে উঠে আসছিল তারা। সায়ন বন্দোপাধ্যায় (Sayan Banerjee) ও পিভি বিষ্ণুকে (PV Vishnu) নামিয়ে সেই কাজটাই সেরে ফেলতে চেয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। বড় ব্যবধানে জয়ের ফলে, ভবানীপুরকে (Bhawanipore) টপকে গ্রুপ বি-র শীর্ষে উঠে গেল ইস্টবেঙ্গল।
১৭ মিনিটে সায়ন বন্দোপাধ্যায়ের করা ক্রস পুলিশের গোলকিপারকে বোকা বানিয়ে চলে যায় জালে। বৃষ্টি ভেজা মাঠে বলটা বুঝতেই পারনেনি পুলিশের গোলকিপার শুভঙ্কর দাস। ৪১ মিনিটে গোল পিভি বিষ্ণু। পাসটা বাড়ান মনোতোষ চাকলাদার। ডার্বি ম্যাচের পর আরও একবার দেখা গেল তাঁর দুর্দান্ত ফাস্ট টাচ। তাঁর সেই টাচেই ফের কেটে যান পুলিশের দুই ডিফেন্ডার। তাদের আড়াল করে শট করেন গোলে। শুভঙ্করের কিছুই করার ছিল না।
দ্বিতীয়ার্ধে শ্যামল বেসরার গোলে ব্যবধান বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। এ ক্ষেত্রেও গোলের কারিগর সেই বিষ্ণু। বাঁদিক থেকে উঠে এসে সেন্টার রাখেন তিনি সেই সেন্টার মিট করে জোরাল শট করেন শ্যামল। তাঁর শট জালের উপরের অংশে লাগে। ৬৭ মিনিটে ফের গোল পান জেসিন (Jesin TK)। আমন আর জেসিনের যুগলবন্দিতে ৪-০ গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ৭২ মিনিটে সায়নের পাস থেকে ব্যবধান আরও বাড়ান জেসিন।
আমন ব্যবধান আরও বাড়িয়ে দেন। সেখান থেকে খেলায় ফিরে আসার কোনও সুযোগই ছিল না পুলিশের। সাত গোলও হতে পারত। তবে শেষদিকে কিছু গোল মিস করায় তা আর হয়নি। তবে দলের খেলায় খুশি হবেন হেড কোচ বিনো জর্জ। এদিন জিকসন সিং-কে (Jeakson Singh) মাঠে এনে লাল-হলুদ সমর্থকদের পরিচয় করানো হয়। যা দেখে দারুণ খুশি সমর্থকরা।