আগামী মঙ্গলবার ইমামির সঙ্গে চুক্তি সই করতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল। দীর্ঘদিন ধরেই এই চুক্তির প্রত্যাশায় ছিলেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। চুক্তি সই করার ক্ষেত্রে আর কোনও জটিলতা নেই বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার জানিয়েছিলেন কিছুদিনের মধ্যেই চুক্তি সই হয়ে যাবে। সেই মত মঙ্গলবার ইমামির পক্ষ থেকে চুক্তির দিন ক্ষণ জানিয়ে দেওয়া হল। ইস্টবেঙ্গল দিবসের ঠিক একদিন পরেই চুক্তি সই করবে ইস্টবেঙ্গল। সোমবার নজরুল মঞ্চে এক সঙ্গে দেখা গিয়েছিল ইমামি কর্তা রাধেশ্যাম আগারওয়াল ও ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘোষণা করা হয়, আগামী মঙ্গলবার চুক্তি সই হবে। সূত্রের খবর, ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের হাতে থাকছে ২৪ শতাংশ শেয়ার। আর ইমামির কাছে থাকছে ৭৬ শতাংশ।
আসন্ন মরশুমে ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) হেড কোচের দায়িত্ব নিতে চলেছেন স্টিফেন কনস্টানটাইন (Stephen Constantine)। রবিবারই ক্লাবের পক্ষ থেকে ব্রিটিশ কোচকে চুক্তিপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সব কিছু যাচাই করে তিনি সম্মতি দিলেই আনুষ্ঠানিকভাবে কোচের নাম ঘোষণা করবে ইস্টবেঙ্গল। গত দুই মরশুমে আইএসএলে কোচ নিয়ে বেশ ভুগতে হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলকে। রবি ফাওলার, মানেলো দিয়াজ, মারিও রিভেরা একের পর এক কোচ বদল হয়েছে। কিন্তু সাফল্য আসেনি। তাই এবার বিদেশি ফুটবলার বেছে নেওয়ার আগেই কোচ নিয়োগ করতে চেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। সেই মতোই কাজ করলেন লাল-হলুদ কর্তারা।
প্রাথমিকভাবে হেড কোচের দৌড়ে ছিলেন কনস্টানটাইন এবং পর্তুগালের জর্জ কোস্তা। তবে ভারতে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ব্রিটিশ কোচই ছিল কর্তাদের প্রথম পছন্দ। জানা যাচ্ছে, এই সপ্তাহেই ইমামির সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল। চুক্তি সইয়ের দিনেই হেড কোচের নামও ঘোষণা করে দিতে পারে ক্লাব।
বুধবারই শহরে পা রাখছেন কলকাতা লিগে ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্বে থাকা কোচ বিনো জর্জ। শুধু কলকাতা লিগ নয়, ঘরোয়া টুর্নামেন্টে তিনিই ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্ব সামলাবেন। বিনোর নামও সরকারীভাবে ঘোষণা করা হয়নি। তবে কাজ শুরু করে দিয়েছেন কেরলকে সন্তোষ ট্রফি জেতান কোচ। ইতিমধ্যেই কেরলের কিছু ফুটবলারের সঙ্গেও কথাবার্তা বলছেন বলে সূত্রের খবর।
কেরলের সন্তোষ জয়ী ক্যাপ্টেন জিজো জোসেফের মত আরও কিছু ফুটবলারকে ইস্টবেঙ্গলে সই করাতে চাইছেন তিনি। দেরীতে চুক্তি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় ভাল মানের ভারতীয় ফুটবলার পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হবে দলকে। একই সঙ্গে বিদেশি বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও সমস্যা হবে। তাই শুরু থেকেই দল গঠনে জোর দিতে চেয়েছিল ক্লাব। প্রথমে তা না মানলেও পরে বাস্তব পরিস্থিতি বুঝতে পেরে দল গঠনের কাজে মন দেয় বিনিয়োগকারী সংস্থা।
প্রাক্তন ফুটবলারদের নিয়ে গড়া কমিটি বেশ কয়েকজন ফুটবলারের নাম পাঠায়। তাদের মধ্যে অনেকেই অন্য দলে সই করে নিলেও যারা রয়েছে তাদের দ্রুত সই করতে চায় ইস্টবেঙ্গল। ইতিমধ্যেই কোম্পানি গঠনের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। চুক্তি সই হয়ে গেলেই দল গড়ার ক্ষেত্রে আর কোনও সমস্যা থাকবে না ইস্টবেঙ্গলের। কারণ ইতিমধ্যেই ট্রান্সফার ব্যান উঠে গিয়েছে তাদের।