
ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ও সমর্থকরাইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) হাতছাড়া আরও এক তারকা মিডফিল্ডার। মোহনবাগান যখন একের পর এক তারকা ফুটবলার সই করে চমক দিচ্ছে, ঠিক সেই সময়, রহিম আলিকে (Rahim Ali) টার্গেট করেও সই করাতে পারছে না ইস্টবেঙ্গল। তবে কেন এমন পরিস্থিতি হল ইস্টবেঙ্গলের?
জানা যাচ্ছে, বাঙালি এই ফুটবলারকে সই করাতে হলে বিরাট অঙ্কের ট্রান্সফার ফি দিতে হত। পাশাপাশি, রহিম আলির জায়গায় খেলার মতো একাধিক ফুটবলার ইস্টবেঙ্গল দলে রয়েছেন। ফলে, আরও বেশি টাকা দিয়ে তাঁকে সই করানোর কোনও মানেই ছিল না। সেই জন্যই তাঁকে সই করাচ্ছে না ইস্টবেঙ্গল। ইতিমধ্যেই রয়েছেন নাওরেম মহেশ সিং ও ভিইপি সুহের। এই মরশুমে সই করেছেন নন্ধাকুমার। ফলে বাঙ্গাল ফুটবলারের পেছনে বিপুল অঙ্কের টাকা খরচ করার কোনও মানেই দেখতে পাচ্ছে না ইস্টবেঙ্গল টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে পারফরম্যান্সের নিরিখে দেখতে গেলে রহিম আলিকে পেলে ইস্টবেঙ্গলের ভালো হত।

দুই ডিফেন্ডার সই করাতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল
ডিফেন্স আরও শক্তিশালী করতে হবে লাল-হলুদকে। ইভান গঞ্জালেজের সঙ্গে হয়ত আর চুক্তি রাখবে না ইস্টবেঙ্গল। সূত্রের খবর, ৩০ জুনের পরই হয়তো অজি ডিফেন্ডারের কথা ঘোষণা করে দেবে ইস্টবেঙ্গল। জানা গিয়েছে, এ লিগে খেলা একজন অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্ডারের সঙ্গে কথা চালাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। তবে ইভানকে ছাড়তে হলে ৬ মাসের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সেটাও একটা বড় সমস্যা। তবে গত মরশুমে নিজেকে মেলে ধরতে না পারা ইভান গঞ্জালেজকে হয়ত ছেড়েই দিচ্ছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। ইভানের বিকল্প হিসেবে কুয়াদ্রাতের নজরে রয়েছেন আরও একজন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার। নিজের দেশের এই ফুটবলারকেই আনতে চাইছেন লাল হলুদ কোচ। তবে এর মাঝেই আই লিগের কয়েকজন ফুটবলারকে শর্টলিস্ট করেছেন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। তাদেরকেও একবার দেখে নিতে চাইছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ।
ভালো গোলকিপার নিতে শুরু থেকেই ঝাঁপিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু টাকার সমস্যায় তা কোনও ভাবেই হচ্ছে না। তবুও গোলকিপার প্রভসুখন গিলকে নেওয়ার চেষ্টা এখনও চালিয়ে যাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। এখনও কোনও কিছু ফাইনাল হয়নি। এ দিকে জুলাইয়েই শহরে আসার কথা লাল-হলুদের সিনিয়র দলের কোচের। তিনি শহরে এসেই অনুশীলন শুরু করানোর পাশাপাশি কলকাতা লিগের দিকেও নজর রাখবেন। রিজার্ভ দল থেকেও প্রয়োজনে যাতে ফুটবলার তুলে আনা যায়, সেদিকেও নজর রাখবেন তিনি। এভাবেই গত মরশুমে উঠে এসেছিলেন নাওরেম মহেশ সিং।