দুর্দান্ত পর্তুগাল (Portugal)। সুইৎজারল্যান্ড (Switzerland) ডিফেন্স ভেঙে খানখান। ৬-১ গোলে তাঁদের হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল পর্তুগাল। হ্যাটট্রিক করলেন দলের সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার গঞ্জালো র্যামোস। তিনি আবার আজ ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পরিবর্তে মাঠে নামেন। প্রথমবার জাতীয় দলের জার্সিতে প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়েই নিজেকে প্রমাণ করলেন তিনি। গোল পেয়েছেন পর্তুগালের প্রবীনতম ফুটবলার পেপেও।
ফুটবল বিশ্বকাপের সব খবরের জন্য় এখানে ক্লিক করুন
প্রথম গোলটাই আসে গঞ্জালো র্যামোসের পা থেকে। থ্রো থেকে বক্সের মধ্যে থাকা গঞ্জালো র্যামোসকে (Goncalo Ramos)পাস বাড়িয়ে দেন জোয়াও ফেলিক্স। প্রথম পোস্টেই সুইস গোলরক্ষক ইয়ান সোমারকে পরাজিত করেন তিনি। রোনাল্ডোর পরিবর্তে প্রথম একাদশে সুযোগ পান তিনি।
গোল করে গেলেন পেপে। আজকে পর্তুগালের অধিনায়ক তিনি। কর্নার থেকে হেডে গোল করে গেলেন পেপে। ২-০গলে এগিয়ে গেল পর্তুগাল।
আরও পড়ুন: রোনাল্ডো নাজারিওকে পিজিয়ান ডান্স শেখালেন রিচার্লিসন, VIRAL VIDEO
বক্সের বাইরে ফ্রিকিক পেয়ে গিয়েছিল সুইসরা। জেরদান শাকিরির অসাধারণ ফ্রিকিক দারুণ সেভ করলেন দিয়েগো কস্তা। দারুণ সুযোগ নষ্ট করলেন র্যামোস। প্রতি আক্রমণে উঠে এসে র্যামোসকে থ্রু বাড়ান ব্রুনো ফার্নান্দেস। গোলরক্ষককে একা পেলেও গোল করতে পারেননি তিনি। তাঁর শট হাতে লাগিয়ে সেভ করেন ইয়ান সোমার।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল করেন র্যামোস। ডানদিক থেকে উঠে আসা দিয়াগো ড্যালট ক্রস রাখেন বক্সে। বাঁ পায়ে পুশে সোমারের পায়ের ফাঁকা দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন।
৫৫ মিনিটে ফের গোল করে দলের ব্যবধান আরও বাড়িয়ে দেন রাফায়েল গুরেরো। বক্সের বাইরে থেকে বল নিয়ে ঢুকে পড়েন গুরেরো। বাঁ পায়ের জোরাল শটে গোল করে ফেলেন তিনি।
৫৮ মিনিটে ব্যবধান কমান আকাঞ্জি। কর্নার থেকে সতীর্থের হেডে বল আসে আকাঞ্জির সামনে। পাঁ পায়ের টোকায় বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি।
৬৭ মিনিটে নিজের হ্যাটট্রিক করে ফেললেন র্যামোস। ব্রুনো ফার্নান্দেসের পাস ধরে একাই বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েন তিনি। এগিয়ে আসতে থাকা গোলরক্ষকের মাথার ওপর বল পাঠিয়ে দেন গোলে। ৯২ মিনিটে দারুণ গোল রাফায়েল লিয়াওর। ডান পায়ে সেকেন্ড পোস্টে বল জালে জড়িয়ে দিলেন তিনি।