৬২ রানে লখনউ সুপার জায়েন্টসকে (LSG) হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে প্লে অফে পৌঁছে গেল গুজরাত টাইটান্স (GT)। ১২ ম্যাচে আটটি ম্যাচ জিতেছে লখনউ। চারটি ম্যাচ হেরে গিয়ে দুই নম্বরে রয়েছেন কেএল রাহুলরা। ১২ ম্যাচে নয়টি জিতেছে গুজরাত। ৩টি ম্যাচ হেরে গিয়েছে তারা।
পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের মাঠে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাত। ভাল ফর্মে থাকলেও মঙ্গলবার বড় রান করতে ব্যর্থ হন ঋদ্ধিমান সাহা। ১১ বলে ৫ রান করে আউট হন তিনি। তবে কঠিন উইকেটে ভাল ব্যাট করেন শুভমন গিল। মাত্র ৪৯ বলে ৬৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। সাতটা চার মারলেও একটাও ছক্কা মারতে পারেননি গিল। ব্যর্থ ম্যাথু ওয়েড (৭ বলে ১০)। হার্দিক পান্ডিয়া ১৩ বলে ১১ রান করেন। ডেভিড মিলার ও রাহুল তেওয়াটিয়া কিছুটা সফল হন। ২৪ বলে ২৬ রান করে আউট হন মিলার। রাহুল ১৬ বলে ২২ রান করে দলের রান ১৪৪-এ পৌঁছে দেন। দুটি উইকেট নেন আভেশ খান।
জবাবে মাত্র ৮২ রানেই শেষ হয় লখনউ। এই মরশুমে চেজ করতে গিয়ে বারেবারেই সমস্যায় পড়েছেন কেএল রাহুলরা। শামির বলে মাত্র ৮ রানে আউট হন লখনউ ক্যাপ্টেন। লখনউয়ের হয়ে সর্বোচ্চ রান দীপক হুডার। ২৬ বলে ২৭ রান করেন তিনি। হুডা, আভেশ খান ও কুইন্টন ডি কক ছাড়া কেউই দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি।
আরও পড়ুন: ভারতীয় ফুটবল তারকাদের স্ত্রী'রাও গ্লামারাস, রইল PHOTOS
৩ ওভার পাঁচ বলে ২৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন রশিদ খান। ৩ ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে রাহুলের উইকেট নেন মহম্মদ শামি। ব্যাটে ব্যর্থ হলেও উইকেটে পেছনে অসাধরণ ঋদ্ধিমান সাহা। রাহুলের ক্যাচ নেওয়ার পর ক্রুণাল পান্ডিয়াকে স্টাম্প করেন বাংলার উইকেট কিপার। সাই কিশোরের বলে আয়ুশ বাদোনিকে স্টাম্প করেন তিনি। এরপর মার্কাস স্টোয়নিশের রান আউটেও ভূমিকা ছিল ঋদ্ধির। আর শেষে আভেশ খানের ক্যাচ দারুণভাবে ধরেন গুজরাত টাইটান্স কিপার।