বড় প্রতারণার ফাঁদে পড়তে হল ভারতের দুই তারকা ক্রিকেটার হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pandya) ও ক্রুণাল পান্ডিয়াকে (Krunal Pandya)। প্রায় ৪ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল হার্দিক ও ক্রুণালের সৎ ভাই বৈভব পান্ডিয়ার বিরুদ্ধে। মুম্বই পুলিশ (Mumbai Police) তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে। ২০২১ সাল থেকে তিন ভাই যৌথ ভাবে পলিমার ব্যবসা গড়ে তোলেন। সেই ব্যবসা থেকে টাকা সরিয়েছেন বৈভব। এমনটাই দাবি।
কী অভিযোগ?
চুক্তি অনুযায়ী হার্দিক এবং ক্রুণাল ৪০ শতাংশ করে টাকা বিনিয়োগ করার কথা ছিল। বৈভবের ২০ শতাংশ বিনিয়োগের কথা ছিল। যা লাভ হবে তা-ও একই ভাবে বণ্টনের কথা ছিল। কিন্তু বৈভব একই ব্যবসা করার জন্য চুক্তি ভেঙে অন্য একটি সংস্থা গড়ে তোলেন। হার্দিক বা ক্রুণালকে কিছু জানাননি। তিন ভাইয়ের মধ্যে হার্দিক-ক্রুণালের ব্যবসায় ক্ষতি হলেও, দেখা যায় বৈভব লাভ করছেন। চুক্তি ছিল, হার্দিক ও ক্রুণাল ব্যবসায় ৪০ শতাংশ বিনিয়োগ করবেন। আর ২০ শতাংশ বিনিয়োগ করেন বৈভব। তবে ব্যবসায় দুই ভাইয়ের ক্ষতি হলেও বৈভবের লাভ বেড়ে ৩৩.৩ শতাংশ হয়ে যায়। এতে ক্ষতির মুখে পড়েন হার্দিক এবং ক্রুণাল। পাশাপাশি আরও একটা কোম্পানি চালু করে ব্যবসা শুরু করে দেন বৈভব। ফলে একদিকে যেমন, টাকা সরিয়ে নেওয়া তেমনই আবার চুক্তি ভঙ্গ করা। সব মিলিয়ে বিরাট বড় অভিযোগ ওঠে বৈভবের বিরুদ্ধে।
যৌথ ব্যবসায় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে বৈভব অবৈধ ভাবে নিজের অ্যাকাউন্টে এক কোটি টাকা সরিয়ে নেন। দুই ভাই অভিযোগ করলে তাঁদের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করার হুমকিও দেন। এর পরেই থানায় অভিযোগ করেন হার্দিক, ক্রুণাল। সেই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বৈভবকে।
এই মুহূর্তে আইপিএল-এ (IPL 2024) নিজেদের দল নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া ও ক্রুণাল পান্ডিয়া। হার্দিক যেমন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে (Mumbai Indians) নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তেমনই ক্রুণাল খেলছেন লখনউ সুপার জায়েন্টের (Lucknow Super Giant) হয়ে।