ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সেমি ফাইনালে পৌঁছে গেল ফ্রান্স। পেনাল্টি মিস করে খলনায়ক হ্যারি কেন। গোটা ম্যাচে দুটো পেনাল্টি পেয়েছিলেন কেন। দুই বারই সামনে ছিলেন ক্লাব সতীর্থ হুগো লরিস। একবার জয় হল ইংল্যান্ড অধিনায়কের, আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় কেনকে টেক্কা দিলেন ফ্রান্স অধিনায়ক।
ফুটবল বিশ্বকাপের সব খবরের জন্য় এখানে ক্লিক করুন
০-১ গোলে পিছিয়ে থাকা ইংল্যান্ডকে সমতা এনে দেয় কেনের পেনাল্টি। ৫৪ মিনিটে তিনিই পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফিরিয়ে ছিলেন। এই গোলের সঙ্গে সঙ্গে ওয়েন রুনিকে ছুঁয়ে ফেলেন কেন। দ্বিতীয়বার পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারলে রুনিকে পেছনে ফেলে দিতে পারতেন তিনি।
আরও পড়ুন: মরক্কোর বিরুদ্ধে দল গোল খাওয়ায় হতাশ বেঞ্চে থাকা রোনাল্ডো,VIRAL VIDEO
চলতি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডই বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বেকায়দায় ফেলে দিয়েছিল। ১৭ মিনিটে চৌমেনির বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শটে ফ্রান্স এগিয়ে যায়(১-০)। এই সময় মনে হয়েছিল এই ম্যাচেও ফরাসিরা দাপট দেখাবে। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে ইংলিশ ফুটবলারদের প্রেসিং ফুটবলের সামনে এমবাপে,গ্রিজম্যান,জিরু,ডেম্বেলেরা পথ হাতড়ে বেড়াছেন। এমবাপে তো বিখ্যাত দৌড় দৌড়বার জায়গায়ও পাননি। যদিও দলের প্রথম গোলের বল তাঁর এবং গ্রিজম্যানের সৌজন্যেই পেয়েছিলেন চৌমেনি।
এর পরই খেলার রাশ ইংল্যান্ড তুলে নেয়। সাকা,রাশফোর্ড, ফডেন,হ্যারিকেন,বেলিংহ্যামের দাপটে ফ্রান্স নিজেদের অর্ধে ঢুকে পড়তে বাধ্য হয়েছিল। ৫৪ মিনিটে ইংল্যান্ডের পেনাল্টি পাওয়া দাপুটে ফুটবলের কারণেই। সাকাকে বক্সের মধ্যে ল্যাং মারেন চৌমেনি। রেফারি পেনাল্টি দিতে দ্বিধা করেন নি। গোল করেন হ্যারি কেন(১-১)।
৭৮ মিনিটে খেলার গতির বিপরীতে জয়সূচক গোল জিঁরুর(২-১)। গ্রিজম্যানের সেন্টারে মাথা ছুঁইয়ে গোল ফরাসি স্ট্রাইকারের। এরপরেই পেনাল্টি থেকে সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল। ভারের সাহায্য নিয়ে রেফারি পেনাল্টি দিয়েছিলেন। কিন্তু ইংল্যান্ড অধিনায়ক ব্যর্থ হওয়ার সঙ্গেই তাদের ফেরার টিকিট কার্যত নিশ্চিত হয়ে যায়। ভালো খেলেও ইংল্যান্ড পরাজিত। গোলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে শেষচারে মরক্কোর সামনে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।