বোলিং অ্যাটাকে পাকিস্তানের বরাবরই রমরমা। বিশ্ব ক্রিকেটকে দুর্ধর্ষ সব ফাস্ট বোলার দিয়েছে পাকিস্তান। একটা দীর্ঘ সময় ফাস্ট বোলারের অভাব ছিল ভারতীয় দলে। বর্তমানে সেই অভাব মিটেছে। ভারতেরও বোলিং শক্তিশালী। ভারতের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের নেপথ্যে 'মাংস', দাবি প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার সইদ আফ্রিদির।
একটি ভিডিওতে আফ্রিদির বক্তব্য, 'সাম্প্রতিক কয়েক বছরে ভারতীয় ক্রিকেটের দুর্দান্ত উন্নতি হয়েছে। সুনীল গাভাস্কার, সচিন তেন্ডুলকার, বীরেন্দ্র শেওয়াগ, বিরাট কোহলির মতো ব্যাটিং লেজেন্ডদের জন্য একসময় বিশ্বে পরিচিত ছিল ভারত। এখন বুমরা, মহম্মদ সিরাজ, মহম্মদ শামিদের মতো টপ কোয়ালিটির ফাস্টবোলাররা রয়েছেন।' শাহিদ আফ্রিদি ভারতের শক্তি নিয়ে বলেছেন, 'ভারতের জনসংখ্যা ১৪০ কোটির একটি খুব বড় দেশ এবং গত কয়েক বছরে ক্রিকেটের মানের যে ধরনের পরিবর্তন হয়েছে তা দুর্দান্ত। এর আগে আমরা বলতাম ওখান থেকে ভালো ব্যাটসম্যান আসে (ভারত) আর পাকিস্তান থেকে ভালো বোলার আসে, কিন্তু সেটা ছিল না, কারণ আমাদের বোলার ও ব্যাটসম্যান দুটোই ভালো ছিল। তবে এখন ওদের বোলাররা মাংস খাওয়া শুরু করেছে, তাই তাদের শক্তি বেড়েছে।’
ভারতীয় দলের বোলারদের মধ্যে কঠিন প্রতিযোগিতা থাকে। ফলে সব ম্যাচে খেলার সুযোগ পান না মহম্মদ সিরাজ বা মহম্মদ শামি। যদিও ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করছেন তাঁরা সকলেই। ১১ অক্টোবর ভারতের পরের ম্যাচ আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। এরপর ১৪ অক্টোবর আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে ভারতীয় দল।
অ্যাথলিটদের পারফরম্যান্সের উপর একটি ভালো খাবারের প্রভাব এবং মাংস খাওয়া একটি উল্লেখযোগ্য কারণ কিনা তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। পুষ্টি বিজ্ঞানীরা যদিও এ ব্যাপারে পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে উঠতে পারেননি। তবে দীর্ঘদিন ক্রিকেট খেলা শাহিদ আফ্রিদির এই মন্তব্য নিঃসন্দেহে দারুণ তাৎপর্যপূর্ণ। পাশাপাশি পাকিস্তানের ফাস্ট বোলাররা বরাবর কাঁপিয়েছেন গোটা বিশ্বকে। এমন দলের প্রাক্তন সদস্য মাংস খাওয়া নিয়ে এমন কথা বলায় তার গুরুত্ব অনেকটাই বেশি।