পাকিস্তানের বোলিং নিয়ে বরাবরই প্রশংসা শোনা যায় ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। তবে সেই গর্বের বোলিংকেই মাটি ধরিয়ে দিলেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৪৫ রানের বড় লক্ষ্য রাখল শ্রীলঙ্কা। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে রানের পাহাড় গড়লেন কুশল মেন্ডিস সামারাবিক্রমারা।
ব্যাট করতে নেমে কুশল মেন্ডিস ০ রানে আউট হলেও ৬১ বলে ৫১ রানের দারুণ ইনিংস খেলে যান পথুম নিশাঙ্কা। ৭৭ বলে ১২২ রানের দারুণ ইনিংস খেলে দলের রান এগিয়ে নিয়ে যান কুশল মেন্ডিস। ১৪টা চার ও ৬টা ছক্কা মেরে আউট হন তিনি। অন্যদিকে সামারবিক্রমা ৮৯ বলে ১০৮ রানের দারুণ ইনিংস খেলে যান। ১১টা চার ও ২টো ছক্কায় সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। এর মাঝেই চরিথ আসালাঙ্কা ১ রানেই আউট হওয়ার পর, ধনঞ্জয় ডি সিলভা ২৫ রান করেন। ক্যাপ্টেন দাশুন শনকা ১৮ বলে ১২ রানের ইনিংস খেলেন। ৩০ ওভারেই ২০০ পেরিয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ যে বড় রান করবে তা বোঝাই যাচ্ছিল।
পথুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস ৯৫ বলে ১০২ রানের দারুণ জুটি গড়ে তোলেন। এরপরে মেন্ডিসের সঙ্গে সামারবিক্রমা ৬৯ বলে ১১১ রানের জুটি গড়েন। মেন্ডিস আউট হওয়ার পরে সামারবিক্রমা জুটি গড়েন সিলভা। ৬৬ বলে ৬৫ রানের জুটি গড়েন। শনকা ও সামারবিক্রমা ৩২ বলে ৩০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে রান ৩৪৪-এ পৌঁছে দেন।
শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৪৪ রানের পাহাড় গড়েছে শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তানের হাসান আলি একাই চার উইকেট তুলে নিয়েছেন। তবে ১০ ওভার বল করে ৭১ রান। হ্যারিস রাউফ ২ উইকেট নিলেও ১০ ওভারে ৬৪ রান দেন। শাহিন শাহ আফ্রিদি ও মহম্মদ নাওয়াজ ও শাহদাব খান একটি করে উইকেট তুলে নেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৬ রানেই প্রথম উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান। ১২ বলে ১২ রান করে ফিরে গিয়েছেন ইমাম উল হক।