চার ইনিংস মিলিয়ে এই ম্যাচে খেলা হয়েছে ৬৪২ বল। এর চেয়ে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ফল আসা ম্যাচ আগে কখনও দেখেনি টেস্ট ক্রিকেট। আগের রেকর্ডের ক্ষেত্রেও নাম ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। ১৯৩২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রোটিয়াদের মেলবোর্ন টেস্টটি শেষ হয়েছিল ৬৫৬ বলে। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫৫ রানে গুটিয়ে দিয়ে ১৫৩ রান করে ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে মার্করাম ছাড়া ব্যর্থ দক্ষিণ আফ্রিকার বাকি ব্যাটাররা । তাদেরকে ১৭৬ রানে গুঁড়িয়ে ৭৯ রানের লক্ষ্য পায় ভারতীয় দল। ১২ ওভারেই জয়ের ঠিকানায় পৌঁছে যায় তারা।
সংক্ষিপ্ত টেস্টের তালিকায় তিন নম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ইংল্যান্ড টেস্ট। ১৯৩৫ সালে ব্রিজটাউনে ৬৭২ বলের টেস্টে ইংল্যান্ড ৪ উইকেটে জিতেছিল। এরপর তালিকায় রয়েছে ১৮৮৮ সালের ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া টেস্ট। ম্যাঞ্চেস্টারে ৭৮৮ বলের ম্যাচে ইনিংস ও ২১ রানে জিতেছিল ইংল্যান্ড। এর পরও ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া টেস্টই রয়েছে। একই বছর লর্ডসে ৭৯২ বলের টেস্টে অস্ট্রেলিয়া ৬১ রানে জিতেছিল।
প্রথম ইনিংস থেকেই ভারতীয় দল এগিয়ে গিয়েছিল। দাপটের সঙ্গে বোলিং করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাত্র ৫৫ রানে অল আউট করে ভারতীয় দল। একাই ৬ উইকেট নেন মহম্মদ সিরাজ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে খুব একটা ভাল খেলতে পারেনি ভারতীয় দল। মাত্র ১৫৩ রানে শেষ হয়ে যায় ভারতের ইনিংস। একমাত্র কিছুটা হলেও রান করেন বিরাট কোহলি। প্রথম দিনেই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ সেশনে ৩ উইকেট খুইয়েও বসে তারা।
ম্যাচের দ্বিতীয় দিনেই জয় তুলে নেয় ভারতীয় দল। লাঞ্চের আগে বাকি সাত উইকেট পরপর তুলে নেয় ভারতীয় দল। প্রথম ইনিংসে মহম্মদ সিরাজের মতো দ্বিতীয় ইনিংসে জসপ্রীত বুমরা জ্বলে ওঠেন। তিনি এবার নেন ৬ উইকেট। ১৭৬ রানে শেষ হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। মার্করাম ১০৩ বলে ঝড়ো ১০৬ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। দ্বিতীয় টেস্টে সুযোগ পেয়ে দুই ইনিংস মিলিয়ে চার উইকেট পেয়েছেন বাংলার পেসার মুকেশ কুমার।
ভারতের সামনে ৭৫ রানের লক্ষ্য রাখে দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ঝড়ো শুরু করে ভারতীয় দল। যশস্বী জয়সওয়াল ও রোহিত শর্মা দারুণ ব্যাট করতে শুরু করেন। কার্যত টি২০-র মেজাজে দেখা যায় তাঁদের ব্যাটিং-এ। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের থিতু হতে না দিয়েই একের পর এক শট খেলতে থাকেন তাঁরা। ২৩ বলে ২৮ রান করে আউট হন জয়সওয়াল। আউট হন রাবাডা ও শুভমন গিল। শেষ দিকে বিরাট কোহলি আউট হলেও জিততে সমস্যা হয়নি। ২২ বলে ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন রোহিত শর্মা।