পাঁচ ম্যাচের টি২০ সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচ হেরে যাওয়ায় সমস্যায় ছিল ভারত। এই পরিস্থিতিতে বিশাখাপত্তনমে হওয়া তৃতীয় ম্যাচ জিততেই হত ভারতকে। আর সেটাই হল। ৪৮ রানে জিতলেন পন্তরা। টসে ফের হারেন ভারতের অধিনায়ক ঋষভ পন্ত। ফের ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান টেম্বা বাভুমা। ব্যাট করতে নেমে শুরটা খারাপ করেনি ভারত। ফর্মে না থাকা ঋতুরাজ গায়কোয়াড এদিন হাফ সেঞ্চুরি করেন। ৫০ করেছেন অপর ওপেনার ইশান কিশানও। তবে ফের ভাল শুরু করেও ব্যর্থ হলেন শ্রেয়াস আইয়ার। ১১ বলে ১৪ রান করে আউট হ্লেন কেকেআর ক্যাপ্টেন।
মাত্র ৩৫ বলে ৫৭ রান করে মহারাজের বলে কোট অ্যান্ড বোল্ড হন ঋতুরাজ। সাতটা চার আর তাঁর সঙ্গে দুটো ছক্কা দিয়ে সাজান ছিল তাঁর ইনিংস। সমসংখ্যক বল খেলে ৫৪ রান করে আউট হন ইশান কিশান। পাঁচটা চার আর দুটো ছক্কা মারেন তিনি। প্রথম ১০ ওভারে ৯৭ রানে ১ উইকেট হারালেও ১৪৩ রানের মধ্যেই আরও ৩ উইকেট হারায় ভারত। সব থেকে বড় কথা সেট হওয়া ইশান কিশান আউট হন। নতুন করে পার্টনারশিপ গড়ে তোলার চেষ্টা করতে থাকেন পন্ত ও হার্দিক পান্ডিয়া। তবে পন্ত বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হন। আট বলে ৬ রান করে আউট হন ভারত অধিনায়ক। ব্যর্থ হয়েছেন দীনেশ কার্তিকও। আট বলে ৬ রান করে আউট হন তিনি। তবে শেষ দুই ওভারে আসে ২৩ রান। ভারতের ইনিংস শেষ হয় ১৭৯ রানে। ২১ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন হার্দিক পান্ডিয়া।
বল হাতেও দারুণ শুরু ভারতের
দুই ম্যাচে স্পিনাররা বিশেষ কিছু করতে পারেননি। তবে দেওয়ালে পথ ঠেকে যেতেই জ্বলে উঠলেন যুজবেন্দ্র চাহাল, অক্ষর প্যাটেল জুটি। শুরু থেকেই ভুবনেশ্বর কুমার চেনা ছন্দে। ৫৭ রানেই চার উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০ ওভার শেষে মাত্র ৬৩ রানে ৪ উইকেট খোয়ায় তারা। ৭১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিরাট চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০০ রানে ৬ উইকেট হারায় তারা। ২৪ বলে ২৯ রান করে চাহালের বলে আউট হন গত ম্যাচের নায়ক ক্লাসেন। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৩১ রানেই সব উইকেট হারায় তারা। চার উইকেট হার্ষাল প্যাটেলের। ৩ উইকেট নেন চাহাল। একটি করে উইকেট ভুবনেশ্বর কুমার ও অক্ষর প্যাটেল।