আইপিএল-এ নো বল বিতর্কে উত্তাল সারা দেশ। মূলত দুটি বিষয় নিয়েই এই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এক, বলটা কোমরের উপরে ছিল কি না? আর দুই, ম্যাচ চলাকালীন ঋষভ পন্তের দেওয়া নির্দেশ। নো বল না ডাকায় আম্পায়ারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন দিল্লি দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। থার্ড আম্পায়ারকে এই বিষয় হস্তক্ষেপ করার দাবি জানাতে থাকেন তাঁরা। সেই সময়ই দলের দুই ব্যাটারকে ডাগ আউটে ফিরে আসার নির্দেশ দিতে থাকেন দিল্লি অধিনায়ক। এটা কি তিনি করতে পারেন? এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর বিতর্ক। তবে প্রশ্ন হল, আম্পায়ার কি উচ্চতার কারণে হওয়া নো বল নিয়ে থার্ড আম্পায়ারের কাছে সাহায্য চাইতে পারেন? আসুন দেখে নেওয়া যাক নিয়ম কী বলছে।
থার্ড আম্পায়ার কেন এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করলেন না?
আইপিএলের নিয়ম অনুসারে, মাঠের আম্পায়ার সমস্ত ক্ষেত্রে থার্ড আম্পায়ারের সাহায্য চাইতে পারেন না। ফ্রন্ট ফুট নো-বল নিয়ে কোনো সমস্যা হলেই বিষয়টি তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে পাঠানো যেতে পারে। অথবা একই বলে উইকেট পড়লে তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে বিষয়টা দু'টোর একটাও নয়। তাই থার্ড আম্পায়ারের কাছে বিষয়টা যায়নি।
নো বলের আইনকে কী বলে?
মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের (MCC) নিয়ম ৪১.৭.১ অনুসারে, মাটিতে আঘাত না করে ক্রিজে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যাটারের কোমরের উচ্চতায় থাকা ফুলটস বলকেই নো বল বলে বিবেচিত করা হয়। রোভম্যান পাওয়েলকে বল করার ক্ষেত্রেও, বেশিরভাগ মানুষ বিশ্বাস করেন যে এটি একটি নো-বল ছিল। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ইরফান পাঠানও এক টুইটের মাধ্যমে একই কথা বলেছেন। তিনি লিখেছেন, 'এটা পরিস্কার নো বল ছিল।
আরও পড়ুন: নো বল কাণ্ডে কড়া BCCI, বড় শাস্তির মুখে পন্ত-আমরে
রাজস্থান দিল্লিকে ১৫ রানে হারিয়েছে
ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থান রয়্যালস ২ উইকেটে ২২২ রান করে। ওপেনার জস বাটলার ৬৫ বলে ১১৬ রান করেন। যেখানে দেবদত্ত পাডিক্কল ৩৫ বলে ৫৪ এবং অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন ১৯ বলে ৪৬ রান করেন। জবাবে দিল্লি ক্যাপিটালসের দল ৮ উইকেটে ২০৭ রান করতে পারে এবং ম্যাচটি ১৫ রানে হেরে যায়। ২৪ বলে ৪৪ রান করেন ক্যাপ্টেন পন্ত। যেখানে ললিত যাদব ২৪ বলে ৩৭ রান এবং রোভম্যান ১৫ বলে ৩৬ রান করেন।