IPL 2022, KKR vs MI: ১৪ বলে ৫০ করে গড়লেন রেকর্ড করলেন কামিন্স, জেতালেন KKR-কে

ভেঙ্কটেশের সঙ্গে জুটি বেঁধে পাল্টা আক্রমণের রাস্তায় হাঁটতে থাকেন কামিন্স। তাঁর ইনিংস সাজান ছ'টা ছক্কা আর চারটে চার দিয়ে। ১৫ বলে ৫৬ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ড্যানিয়েল শ্যামসের এক ওভারে ৩৫ রান নেন কামিন্স। সেটা ছিল ১৬ তম ওভার। চারটে ছয় ও ২টো চার মারেন কামিন্স।

Advertisement
১৪ বলে ৫০ করে গড়লেন রেকর্ড করলেন কামিন্স, জেতালেন KKR-কেম্যাচ সেরার পুরষ্কার হাতে কামিন্স

ইনিংস দেখে কে বলবে এবারের আইপিএল-এ (IPL 2022) প্রথম ম্যাচ খেলছেন তিনি? মাত্র ১৪ বলে ৫০ করে যুগ্মভাবে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়ে ফেললেন প্যাট কামিন্স (Pat Cummins)। আর দলকে আরও গুরুত্বপূর্ণ দুটো পয়েন্ট এনে দিলেন এই অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার। কামিন্স ছাড়াও ১৪ বলে ৫০ করার রেকর্ড রয়েছে কেএল রাহুলের (KL Rahul)  বিরাট চাপের মধ্যেও সহজেই দলকে লক্ষ্যে পৌঁছে দিলেন। কেকেআর (KKR) যখন শেষ করল তখনও হাতে রয়েছে চার চারটি ওভার। এমনিতে ১৬১ রানের লক্ষ্য খুব একটা বড় নয়। তবে সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে গিয়ে একটা সময় পাঁচ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় কলকাতা। যদিও প্রথম থেকেই একটা প্রান্ত ধরে রেখেছিলেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। ৫০ করেন তিনিও। অপর প্রান্তে উইকেট হারাচ্ছিল নাইটরা।

সেই সময় ভেঙ্কটেশের সঙ্গে জুটি বেঁধে পাল্টা আক্রমণের রাস্তায় হাঁটতে থাকেন কামিন্স। তাঁর ইনিংস সাজান ছ'টা ছক্কা আর চারটে চার দিয়ে। ১৫ বলে ৫৬ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ড্যানিয়েল শ্যামসের এক ওভারে ৩৫ রান নেন কামিন্স। সেটা ছিল ১৬ তম ওভার। চারটে ছয় ও ২টো চার মারেন কামিন্স।

প্রথম বলে সোজা ছক্কা মারেন তিনি। পরের বলে ডিপ স্কোয়ার লেগে বাউন্ডারি মারেন কামিন্স। তৃতীয় বলে ডিপ স্কোয়ার লেগের উপর দিয়ে ছয় মারেন অজি ক্রিকেটার। চতুর্থ বলে ফাইন লেগকে সামনের দিকে থাকতে দেখে ছয় মারেন কামিন্স। পরের বল নো হয়। সেই বল থেকেও দুই রান দৌড়ে নেন তিনি। পঞ্চম বলে স্কোয়ার লেগে চার মেরে ৫০ করেন কামিন্স। ওভারের শেষ বলে ফের ছয় মেরে ম্যাচ জেতান তিনি।

  

আরও পড়ুন:  Ronaldo বা Messi নন, রোহিতের পছন্দের ফুটবলার কে জানেন?

তবে শুধু ব্যাট হাতে নয় বল হাতেও ২ উইকেট পেয়েছেন কামিন্স। ইশান কিষান ও সূর্যকুমার যাদবের উইকেট নেন তিনি। ম্যাচের সেরাও হয়েছেন কামিন্স। এবারের আইপিএল-এ প্রথম ম্যাচ খেলা কেকেআর-এর এই অলরাউন্ডার বলেন, ''আমি নিজেও এমন ইনিংস খেলে অবাক। তবে খেলতে নেমে বেশি কিছু ভাবিনি। শুধু ভেবেছি, হাত খোলার সুযোগ পেলে তা কাজে লাগাব। শুধু বাউন্ডারিযে দিকে ছোট সেই দিকে মারার চেষ্টা করে গিয়েছি। এটা আমার কাছে দারুণ স্বস্তির ইনিংস। কারণ এটাই আমার প্রথম ম্যাচ ছিল। আমাদের দলটা দারুণ হয়েছে।''  

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement