শেষ ওভারে পাঁচটা ছক্কা খেয়েছেন। দিয়েছেন ৩১ রান। ম্যাচ হেরে হতাশ গুজরাত টাইটান্স (Gujarat Titans) বোলার যশ দয়াল (Yash Dayal)। ভেঙে পড়া এই বোলারকেই সাহস জগাল প্রতিপক্ষ দল কলকাতা নাইট রাইডার্স (Kolkata Knight Riders)। নাইটদের এমন আচরণে দারুণ খুশি নেটিজেনরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় কেকেআর-এর এই পোস্ট এখন ভাইরাল। রিঙ্কু সিং-এর (Rinku Singh) বিধ্বংসী ইনিংসের জেরে প্রায় জেতা ম্যাচ হাতছাড়া হয় গুজরাতের। তবে সবকিছুর পাশাপাশি আলোচিত হচ্ছে, প্রতিপক্ষের ক্রিকেটারের প্রতি নাইটদের এই 'পেপটকের' কথাও।
কী ছিল সেই পোস্টে?
রবিবার ম্যাচের পর নাইটদের পক্ষ থেকে ট্যুইট করা হয়। যশ দয়ালের ছবি দিয়ে সেখানে লেখা হয়, 'মাথা উঁচু করে থাকো। স্রেফ একটা খারাপ দিন গেছে। সেরা ক্রিকেটারদেরও এমনটা হয়। তুমি একজন চ্যাম্পিয়ন। আরও শক্তি নিয়ে তুমি ফিরে আসবে।' যশের পাশে দাঁড়ানোয় কেকেআর-এর প্রশংসা করেছেন সমর্থকরা। তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে ট্যুইট করেছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার ইরফান পাঠানও। তিনি লিখেছেন, 'আজকের ম্যাচটা ভুলে যাও যশ দয়াল। নিজের ভালো দিনের কথা মনে রেখে পরের ম্যাচে খেলতে নামো। শক্ত থাকো। আর সেটা করতে পারলেই দেখবে পুরো ব্যাপারটা ঘুরে গিয়েছে।'
আরও পড়ুন: রিঙ্কুর ৫ ছক্কায় মজলেন নীল ছবির তারকা, ছবি পোস্ট করে অভিনন্দন
শেষ ওভারে বল করার অভিজ্ঞতা আছে যশের
গত আইপিএল-এও বেশ কয়েকবার শেষ ওভারে বল করে দলকে ম্যাচ জিতিয়েছেন যশ দয়াল। ক্যাপ্টেন হার্দিক পান্ডিয়ার অনুপস্থিতিতে তাঁকেই অনুসরণ করেন রশিদ খান। ১ ওভারে ২৯ রান দরকার এই অবস্থায় বল করতে এসেছিলেন যশ। ১৬ বছরের আইপিএল-এর ইতিহাসে এটাই শেষ ওভারে সর্বোচ্চ রান চেজ।
আরও পড়ুন; কলকাতায় লিটন, শক্তি বাড়াচ্ছে KKR, কবে মাঠে নামতে পারেন বাংলাদেশি তারকা?
শেষ ওভারে যা ঘটল
শেষ ওভারে স্ট্রাইকে ছিলেন উমেশ যাদব। প্রথম বলে সিঙ্গল নিয়ে স্ট্রাইক দেন রিঙ্কুকে। তারপর শুধুই ছক্কা। যশ দয়ালের দিশাহীন বোলিং-এর সৌজন্যে একের পর রক ছক্কা মেরে দলকে অবিশ্বাস্য ম্যাচ জেতান রিঙ্কু। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বল ফুলটস করেন যশ। অফ স্টাম্পের বাইরের বল স্টেডিয়ামের বাইরে পাঠান তারকা ক্রিকেটার। তৃতীয় বল আবারও লেগ সাইডে ফুলটস করলে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগে ছক্কা মারেন রিঙ্কু। চতুর্থ বল অফস্টাম্পের অনেকটা বাইরের দিকে করার চেষ্টা করলেও তাতে লাভ হয়নি। লং অফের ওপর দিয়ে বল বাইরে পাঠিয়ে দেন রিঙ্কু। পঞ্চম বলেও দিশা ঠিক রাখতে পারেননি যশ। লং অনের ওপর দিয়ে সেই বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠান রিঙ্কু। শেষ বলে দরকার ছিল ৪ রান। সেই বলেও ছক্কা মেরে স্মরণীয় ম্যাচ শেষ করেন কেকেআর ব্যাটার।