চিপকে ক্রুনাল পান্ডিয়ার (Krunal Pandya) লখনউকে (LSG) ৮১ রানে হারিয়ে ফাইনালের পথে আরও এক পা বাড়ালেন রোহিত শর্মারা (Rohit Sharma)। লখনউকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (Mumbai Indians) অল আউট করল ১০১ রানে।
টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় মুম্বই। নামার পর থেকেই বেশ আক্রমণ করতে থাকেন মুম্বই ব্যাটাররা। শুরুতেই দুই উইকেট হারালেও আক্রমণের গতি কমাননি ক্যামেরন গ্রিন ও সূর্যকুমার যাদব। বাউন্সার দিলেই তা কিপারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে দিচ্ছিলেন স্কাই (সূর্যকুমারকে যা ভলে ডাকেন সতীর্থরা)। অন্যদিকে মেরে খেলছিলেন গ্রিনও। তাঁরা জানতেন এই স্লথ উইকেটে পরে ব্যাট করতে নেমে বড় রান করতে অসুবিধা হবে লখনউ ব্যাটারদের। তাই রান যতটা বাড়িয়ে নেওয়া যায় ততই চাপে পড়বে লখনউ। আর সেই কাজটাই শেষ করলেন নেহাল ওয়াসেহরা। ১২ বল খেলে ২৩ রান করে আউট হন তিনি। ক্রিস জর্ডন আরও একটু ভালো খেলতে পারলে ২০০ ছুঁয়ে ফেলতে পারত মুম্বই। তবে তিনি আউট হলেন ৭ বলে ৪ রান করে।
আরও পড়ুন: কোহলির সঙ্গে বিবাদ, বিতর্কিত সেই পাঠান পেসার ভাঙলেন মুম্বইকে
১৮৩ রান তাড়া করতে নেমে রান করাটা কতটা কঠিন তা হাড়ে হাড়ে টের পেতে থাকেন লখনউ ব্যাটাররা। কায়েল মেয়ার্স ১৩ বলে ১৮ রান করে আউট হন। প্রেরক মারকান্ডও ব্যর্থ হন। ২৭ বলে ৪০ রান করে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মার্কাস স্টোয়নিশ। পাঁচটা চার আর একটা ছক্কা মারেন তিনি। দীপক হুড্ডার উইকেট হারাতেই লড়াই থেকে হারিয়ে যায় লখনউ। তবে ক্রুণালদের সিদ্ধান্ত প্রশ্ন উঠছেই। কেন এমন নক আউট ম্যাচে খেলানো হল না কুইন্টন ডি ককের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে? ম্যাচের শেষে যদিও এই বিতর্কে মুখ খুলেছেন ক্রুণাল।
আরও পড়ুন IPL মাতালেন ৪ আনক্যাপড ক্রিকেটার, সুযোগ পাবেন ভারতীয় দলে?:
তিনি বলেন, ‘আমি জানি এটা কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। ফাফের মতো ক্রিকেটারকে বাদ দেওয়া সহজ নয়। কাইল মেয়ার্সের এই মাঠে রেকর্ড ভালো। সেই জন্যই ওকে নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।‘ শুধু ব্যাটিং-এর জন্য নয়, উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে রান দিয়েছেন নিকোলাস পুরান। এমন ম্যাচে এক একটা রানও বিরাট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়। সেখানে এমন ভুল নিঃসন্দেহে সমস্যা তৈরি করে। আর সেটাই হল। ম্যাচ হারতে হল ৮১ রানে।