আইপিএল-এ দারুণ ছন্দে রাজস্থান রয়্যালসের ক্যাপ্টেন সঞ্জু স্যামসন। লখনউ সুপার জায়েন্টের বিরুদ্ধে আইপিএল-এর প্রথম ম্যাচেই ৫২ বলে ৮২ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেললেন তিনি। যেখানে ছিল ছ'টা ছক্কা ও তিনটি চার। এই দুর্দান্ত ব্যাটিং-এ ভোর করেই ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান করে রাজস্থান।
ঘরের ভাল ইনিংস খেলেন রিয়ান পরাগও। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি আইপিএল খেলছেন ফলে অভিজ্ঞতাকে দারুণভাবে কাজে লাগান দুই ব্যাটারই। ২৯ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেলে নবীন উল হকের বলে আউট হন রিয়ান। শিমরান হেটমায়ার বড় রান করতে না পারলেও, শেষে ১২ বলে ২০ রানের ইনিংস খেলেন ভারতীয় দলের হয়ে সদ্য টেস্ট খেলা ধ্রুব জুরেল। তবে শুরুটা জে কুব একটা ভাল হয়েছিল রাজস্থানের তেমনটা বলা যাবে না। যশস্বী জয়সওয়াল ১২ বলে ২৪ রান করে আউট হন। তাঁর উইকেট তুলে নেন মহসীন খান। জস বাটলার ১১ রান করে লখনউ ক্যাপ্টেন রাহুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। পাওয়ার প্লের মধ্যেই ৪৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে রাজস্থান।
আইপিএল-এর পরেই টি২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে। সেখানে আইপিএল-এর পারফর্ম্যান্স সেখানে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। এই মুহূর্তে জাতীয় দোল থেকে দূরে সঞ্জু। সে নিয়ে ফ্যানদের ক্ষোভও কম নয়। এর মাঝেই ভারতীয় দলে উইকেট কিপার ব্যাটার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছেন ধ্রুব জুরেল। ঋষভ পন্তও ফিট হয়ে আইপিএল-এ খেলা শুরু করে দিয়েছেন। ফলে জায়গা পাওয়া কঠিন। তবে নিজের কাজটা করে জেতে চান সঞ্জু।
টস জিতে সঞ্জু স্যামসন বলেন, ‘নতুন কয়েন দেখলাম। তাই ফ্লিপ করার আগে কিছুক্ষণ সেটা এদিক ওদিক দেখে নিলাম প্রথমে। টস জিতে ব্যাটিং করব আমরা। ব্যাট করার মতো ভালো উইকেট মনে হচ্ছে। আমরা ব্যাটিং ও বোলিং দুটোই করতে পারতাম। জয়পুরে ফিরে দারুণ লাগছে। ড্রেসিংরুমেও ভালো পরিবেশ। অনেক তরুণ ক্রিকেটার গত ১০ মাসে সুপারস্টার হয়ে উঠেছে। যা ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্যও বেশ ভালো।’