শনিবার আইএসএলে হায়দরাবাদের মুখোমুখি সবুজ-মেরুন। পরপর হারের পর, এবার ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। এএফসি কাপে ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে পাঁচ গোল খাওয়ার পর, এই ম্যাচের ফলাফলের উপরে কোচ ফেরান্দোর ভবিষ্যতের অনেক কিছু নির্ভর করতে পারে।
হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে মোহনবাগান কোচ অবশ্য নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিশেষ চিন্তিত নন। তিনি টিমকে ঘুরে দাঁড় করাতে মরিয়া। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেরান্দো বলেন, ‘আমরা ওডিশা ম্যাচেও লড়াইয়ে ফিরে এসেছিলাম। দু’গোল শোধ করেছিলাম। তিন নম্বর গোলও হয়ে যেত। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আরও দু’গোল খেয়ে যেতে হয়। এই ব্যাপারটায় নজর রাখতে হবে। ছন্দপতন হতে দেওয়া যাবে না।’
এএফসি কাপ আর আইএসএল যে এক নয় তা ভালোভাবেই জানেন ফেরান্দো। আইএসএল ম্যারাথন লিগ। একটা হার-জিতে হয়তো বড় কিছু বদল হবে না। কিন্তু পাঁচ গোলের ধাক্কা কাটিয়ে জয়ে ফিরতে মরিয়া মোহনবাগান। লক্ষ্য একটাই, জিতে ফুটবলারদের মানসিকভাবে চাঙ্গা করে তোলা। ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই হায়দরাবাদ ‘সহজ’ প্রতিপক্ষ। লিগ টেবলে এই মুহূর্তে সবার শেষে রয়েছে হায়দরাবাদ।
সাত ম্যাচে একটা জয় পায়নি তারা। তিনটে ড্র করে তারাও মরিয়া ঘুরে দাঁড়াতে। ঘরের মাঠে খেলা। শুরু থেকেই আক্রমণে ঝাঁপাতে চায় হায়দরাবাদ। তবে আক্রমণ ভাগও চিন্তায় রাখছে মোহনবাগানকে। যে আশা নিয়ে স্ট্রাইকারদের সই করানো হয়েছিল, সেই কাজে তারা সেভাবে সফল হননি।
এই অবস্থায় সাদিকুর গোল না করা ভাবাচ্ছে মোহনবাগানকে। এ দিন সাদিকু নিজেও বলেন, ‘কোচ আমার উপরে আস্থা রেখেছেন। আমাকে গোল করতে হবে। চেষ্টা করব, এই ম্যাচ থেকেই গোলে ফিরতে। এক এক সময় এমন হয়। তবে, পুরো টিম আমার পাশে আছে।’ সাদিকু গোল না পেলে তাঁর বদলিও খুঁজতে হতে পারে। আপাতত, আইএসএলের সামনের কটা ম্যাচ মোহনবাগান কোচের সঙ্গে কিছু ফুটবলারদের ভবিষ্যৎও ঠিক করে দেবে।