scorecardresearch
 

Mohun Bagan: হেরেও দমেনি মোহনবাগান, ওড়িশাকে কলকাতায় হারানোর হুঙ্কার শুভাশিসের

এক মরসুমে তিন ট্রফি জয়। এই লক্ষ্য নিয়েই মঙ্গলবার খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। মরসুমের শুরুতে ডুরান্ড কাপ জেতার পর, লিগ শিল্ড জেতা হয়ে গিয়েছে। আর এবার লক্ষ্য আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়া। তবে সমস্ত পরিকল্পনা ধাক্কা খেল প্রথম লেগের ম্যাচে। যেখানে ওড়িশা এফসি-র কাছে এগিয়ে থেকেও হেরে গেল মোহনবাগান। তবে কলকাতা দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে ফিরে আসার বার্তা দিলেন মোহনবাগান ক্যাপ্টেন শুভাশিস বসু।

Advertisement
মোহনবাগান মোহনবাগান

এক মরসুমে তিন ট্রফি জয়। এই লক্ষ্য নিয়েই মঙ্গলবার খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। মরসুমের শুরুতে ডুরান্ড কাপ জেতার পর, লিগ শিল্ড জেতা হয়ে গিয়েছে। আর এবার লক্ষ্য আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়া। তবে সমস্ত পরিকল্পনা ধাক্কা খেল প্রথম লেগের ম্যাচে। যেখানে ওড়িশা এফসি-র কাছে এগিয়ে থেকেও হেরে গেল মোহনবাগান। তবে কলকাতা দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে ফিরে আসার বার্তা দিলেন মোহনবাগান ক্যাপ্টেন শুভাশিস বসু।

মরসুমের শুরুতে এই ওড়িশার বিরুদ্ধে দারুণ জয় পেয়েছিল সবুজ-মেরুন শিবির। ম্যাচ শেষে কলিঙ্গ স্টেডিয়াম ছাড়ার সময় শুভাশিস বলেন, 'রবিবারের ম্যাচেই আমরা ঘুরে দাঁড়াবো। কলকাতায় সকল দর্শকদের সামনে দাপটের সাথে খেলে আইএসএলের ফাইনালে পৌঁছাব। প্রথমদিকে আমরা এগিয়ে ছিলাম। তবে গোল হজম করার পর সমস্ত কিছু বদলাতে শুরু করেছিল। আমরা জেতার মতোই খেলেছিলাম। কয়েকদিন আগে মুম্বইকে হারিয়ে আমরা যেভাবে শিল্ড জিতেছি, ঠিক তেমনভাবেই সমস্ত ফ্যানসদের সামনে ওডিশা দলকে হারিয়ে আমরা ফাইনাল নিশ্চিত করব।'
 

ম্যাচের শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিল মোহনবাগান
ম্যাচের ৩ মিনিটে বাঁদিক থেকে আসা কর্নারে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন মনবীর। জবাব দিতে দেরি করেনি ওড়িশা।  ১১ মিনিটের মাথায় সমতা ফেরায় ওড়িশা। জুয়ানের নেওয়া কর্নার থেকে মোহনবাগান বক্সে বল পেয়ে যান ফাঁকায় দাঁড়ানো কার্লোস ডেলগাডো। গোল করতে ভুল করেননি তিনি। ওড়িশার একের পর এক আক্রমণের সামনে কিছুটা চাপে পড়ে যায় মোহনবাগান। সবুজ-মেরুন ফুটবলারেরা একের বিরুদ্ধে এক পরিস্থিতিতে বল দখল করতে পারছিলেন না। 
 

আরও পড়ুন

সুযোগ নষ্ট করে সবুজ-মেরুন
২২ মিনিটে জনি কাউকো সুযোগ নষ্ট করার পর, ২৪ মিনিটে দিমিত্রি পেত্রাতোসেরা গোল করার সুযোগ নষ্ট করেন। পেত্রাতোসের দুরন্ত শট আটকে দেন ওড়িশা গোলরক্ষক অমরিন্দর সিংহ। ৩৯ মিনিটে ওড়িশার হয়ে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন কৃষ্ণ। এই গোলে ওড়িশার স্ট্রাইকারের কৃতিত্ব অস্বীকার না করলেও দায় এড়াতে পারে না মোহনবাগান রক্ষণ। মোহনবাগান ফুটবলারদের ভুলেই বক্সের মধ্যে বল পেয়ে যান কৃষ্ণ। গোলরক্ষক কাইতও আগে ভাগে গোল ছেড়ে বেরিয়ে এসে কৃষ্ণর কাজ সহজ করে দেন। 

Advertisement

দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা রক্ষণাত্মক হয়ে যায় ওড়িশা। মূলত প্রতিআক্রমণমূলক ফুটবল খেলতে শুরু করেন লোবেরার ছেলেরা। সেই সময়ই মাথা গরম করে লাল কার্ড দেখেন সাদিকু। আবার ৭৪ মিনিটে ডেলগাডো বক্সের মধ্যে হাতে বল লাগালে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড এবং লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। ফলে দু’দলই ১০ জনে হয়ে যায়। তবে তাতেও গোল করতে পারেনি মোহনবাগান।

Advertisement