দিমিত্রিয়াস ডিমান্টাকোসের গোলে হারের হ্যাটট্রিক মোহনবাগানের (Mohun Bagan Super Giant)। মুম্বই সিটি এফসি (Mumbai City FC), এফসি গোয়ার (FC Goa) পর, ঘরের মাঠে কেরল ব্লাস্টার্সের (Kerala Blasters) বিরুদ্ধেও হেরে বিরাট সমস্যায় জুয়ান ফেরান্দোর মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। আইএসএল-এর ইতিহাসে এর আগে একবারও পরপর তিন ম্যাচ হারতে হয়নি সবুজ-মেরুনকে। এই মরসুমে সেই লজ্জার রেকর্ডও গড়ে ফেলল জুয়ান ফেরান্দোর ছেলেরা।
ম্যাচের শুরু থেকেই রাশ নিজেদের হাতেই রেখেছিল কেরল। ৪ মিনিটেই গোল খেয়ে যেতে পারত মোহনবাগান। আশিস রাই নিজেদের বক্সে বল চেস্ট ট্র্যাপ করতে গেলে বল কেড়ে নেন ডিমান্টাকোস। তাঁর শট যদিও বাইরে চলে যায়। তবে এর ঠিক পাঁচ মিনিট পরেই গোল করে যান ডিমান্টাকোস। ডি বক্সের সামনে থেকে বল ধরে শুরুতে দীপক টাংরির সামনে বল ধরে বেশ কিছুটা সময় হোল্ড করেন ডিমান্টাকোস। এরপর সতীর্থ কাউকে খুঁজে না পেয়ে দৌড় শুরু করেন। পেনাল্টি বক্সের ভেতরে তখন একদিকে হেক্টর উস্তে আর অন্যদিকে আশিস রাই। কেউই ট্যাকেল করতে সাহস পাননি। বাঁ পায়ের টোকায় দুই ডিফেন্ডারকেই ছিটকে দেন ডিমান্টাকোস। তারপর সেই পায়েই নেওয়া জোরাল শট আশ্রয় নেয় জালে।
গোটা প্রথমার্ধে একটাও শট করতে পারেনি মোহনবাগান। দলে জেসন কামিন্স, দিমিত্রি পেত্রাতোসের মতো ফুটবলার থাকতেও এমন ফুটবল? আর এটাই বলে দেয় কতটা খারাপ খেলেছে সবুজ-মেরুন। ৩৯ মিনিটে ফের এগিয়ে যেতে পারত কেরল। রাহুল কেপির শট বাইরে চলে যায়। তবে প্রথমার্ধেই ৪০ মিনিটে কেরলের আরেক স্ট্রাইকার পেপরা ভুল না করলে ব্যবধান বাড়তে পারত। দ্বিতীয়ার্ধে মনবীরকে নামানোর পর আক্রমণের ঝাঁজ কিছুটা বাড়লেও কাজের কাজ হয়নি। হেরেই মাঠ ছাড়তে হয় মোহনবাগানকে।
এই হারের ফলে চার নম্বরে থাকল মোহনবাগান আর অন্যদিকে এই ম্যাচ জিতে শীর্ষে চলে গেল কেরল। গোটা ম্যাচে ১টা মাত্র গোলে শট করতে ফেলেছে মোহনবাগান।