Player Release Issue-তে 'তিতিবিরক্ত' জামিল, AIFF ও ISL ক্লাবগুলিকে কথা বলার পরামর্শ

ফুটবলারদের জাতীয় ক্যাম্পে ছাড়া নিয়ে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (AIFF) এবং ইন্ডিয়ান সুপার লিগের (ISL) ক্লাবগুলির মধ্যে টানাপোড়েন অব্যাহত। তারই মাঝে এই দুই দলকে পরস্পরের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিল ভারতীয় জাতীয় দলের কোচ খালিদ জামিল।

Advertisement
প্লেয়ার রিলিজ ইস্যুতে 'তিতিবিরক্ত' জামিল, AIFF ও ISL ক্লাবগুলিকে কথা বলার পরামর্শ
হাইলাইটস
  • শিবিরে অনুপস্থিত ১৪ জন ফুটবলার
  • ISL-এর ক্লাবগুলি ছাড়ছে না
  • ৩০ জন প্লেয়ারকে এই ক্যাম্পের জন্য চাওয়া হয়েছে

ফুটবলারদের জাতীয় ক্যাম্পে ছাড়া নিয়ে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (AIFF) এবং ইন্ডিয়ান সুপার লিগের (ISL) ক্লাবগুলির মধ্যে টানাপোড়েন অব্যাহত। তারই মাঝে এই দুই দলকে পরস্পরের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিল ভারতীয় জাতীয় দলের কোচ খালিদ জামিল। এর মাধ্যমেই ক্লাব ও জাতীয় দলের মধ্যে সমতা খুঁজে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। 

আসলে অক্টোবরেই ভারতীয় জাতীয় ফুটবল দলের খেলা রয়েছে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে। এশিয়ান কাপের যোগ্যতা নির্ণয়কারী এই  ম্যাচের প্রস্তুতি হিসাবে জাতীয় ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে অনুপস্থিত ১৪ জন ফুটবলার। তাঁদের ISL-এর ক্লাবগুলি ছাড়ছে না। যার ফলে প্রস্তুতি বিশ বাঁও জলে ডুবে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত, জামিলের পক্ষ থেকে ৩০ জন প্লেয়ারকে এই ক্যাম্পের জন্য চাওয়া হয়েছে। কিন্তু সেখানে অনুপস্থিত রয়েছে ১৪ জন কি-প্লেয়ার। আর এই তালিকায় রয়েছে সব বড়সড় নাম। এই যেমন সুনীল ছেত্রীর কথাই ধরুন। বেঙ্গালুরু এফসি দলের এই ফুটবলারকেও নিয়েও ক্লাব ও জাতীয় দলের টানাটানি চলছে।

যতদূর খবর, বর্তমানে ১৮ জনকে নিয়ে ক্যাম্প চালাচ্ছেন জামিল। ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শিবিরে যোগ দিয়েছে ব্র্যান্ডন ফার্নান্ডেস, অশির আখতার, ফারুক চৌধুরীর মতো নাম। 

তবে এখনও অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ার শিবিরে যোগ না দেওয়ায় প্রস্তুতিতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জামিল। তিনি বলেন, 'আমাদের প্রস্তুতিতে দল গুরুত্ব পায়, আমরা কোনও ব্যক্তির উপর নির্ভর করি না। কিন্তু নির্দিষ্ট পজিশনের কিছু খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতি অবশ্যই ট্রেনিংয়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।'

তিনি আরও যোগ করেন, 'কয়েকজন প্লেয়ার নানা পর্বে শিবিরে যোগ দেবে। আমরা চেষ্টা করছি যাঁরা আছে, তাঁদের নিয়েই সেরা কাজটা করার। আমি বিশ্বাস করি, লং রানে ক্লাব এবং জাতীয় দলের দায়িত্ব পালনে ব্যালেন্স আনতে একত্রে হয়ে কাজ করতে হবে।'

প্রসঙ্গত, বেঙ্গুলুরু এফসি, ইস্ট বেঙ্গল এবং পাঞ্জাব এফসি-এর মতো দলগুলি নিজেদের প্লেয়ার ছাড়তে খুব দেরি করছে। এমনকী মোহন বাগান ও এফসি গোয়ার প্লেয়াররাও এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের জন্য জাতীয় শিবিরে যোগ দিতে পারছে না। 

Advertisement

জামিল সামনের ম্যাচের গুরুত্ব সম্পর্কে বলেন, 'আগামি ম্যাচের গুরুত্ব আমরা খুব ভালো করেই জানি। এই ম্যাচগুলোয় ইতিবাচক ফলে হলে কোয়ালিফিকেশন ক্যাম্পে অনেকটাই এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।'


 

POST A COMMENT
Advertisement