scorecardresearch
 

রোহিতকে সরিয়ে রাহুল আর পন্থকে সহ-অধিনায়ক করতে চেয়েছিলেন কোহলি?

ইতিমধ্যেই টি২০ অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন কোহলি। তার মধ্যেই তাঁর একদিনের ম্যাচেও তাঁর অধিনায়কত্বে খাঁড়া ঝুলছে। তার উপর এল নতুন তথ্য। তিনি নাকি রোহিতকে সরিয়ে রাহুল ও পন্থকে সহ অধিনায়ক করতে চেয়েছিলেন!

Advertisement
নতুন তথ্য নতুন তথ্য
হাইলাইটস
  • রোহিতকে সরাতে চেয়েছিলেন কোহলি !
  • তাঁর পছন্দ ছিল রাহুল ও পন্থ
  • ওয়ানডেতেও অধিনায়কত্ব থেকে সরানো হতে পারে কোহলিকে

আগামী মাসে টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপ এর পরেই টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে বিরাট কোহলির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তিনি নিজেই সেই ঘোষণা করে দিয়েছেন। এই মুহূর্তে তিনি খুব একটা ভালো ফর্মে নেই। তিনি নিজের ফর্ম ফেরত পাওয়ার চেষ্টা করে চলেছেন। কোহলি জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিলেও টেস্ট এবং ওয়ানডেতে তিনি অধিনায়কত্ব চালিয়ে যাবেন। কিন্তু কেউই এখন স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না যে ২০২৩ এ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে তিনি অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নামবে।

বিরাটের সামনে খাঁড়া

কাজের বোঝা বা অধিনায়কত্বের ভার লাঘবের জন্যই তিনি টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক ছাড়ার জন্য রাজি হয়েছেন। কিন্তু ২০২৩ এ ভারত যখন একদিনের ওয়ার্ল্ড কাপ খেলবে, তার আগে ভারতকে অন্তত এবং কুড়িটি টি-২০ খেলতে হবে। যার মধ্যে কোহলি অধিনায়ক থাকবেন না। ফলে সেই সমস্ত ম্যাচগুলিতে ভারত যদি অভাবনীয় ভালো ফল করে, তাহলে একদিনের অধিনায়কত্ব নতুন অধিনায়ককে আনার প্রস্তাব উঠতে শুরু করবে।

ভবিষ্যতে কাড়া হতে পারে ওয়ানডে অধিনায়কত্বও

এটা অনস্বীকার্য যে, বিরাট জানেন যদি তার দল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো প্রদর্শন না করতে পারে, তাকে সীমিত ওভারের অধিনায়কত্ব থেকেও সরতে হতে পারে। তবে তার আগেই অবশ্য তিনি এই আগাম ঘোষণা করে দেওয়াতে অনেকটা চাপমুক্ত ভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিরাট কোহলি বলেন, নিজের উপর থেকে কিছুটা চাপ কমাতে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, তিনি নিজের ইচ্ছেতেই অধিনায়কত্ব ছাড়ছেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যদি প্রদর্শন খারাপ হয়, তাহলে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ এবং ৫০ ওভারের তার প্রভাব কমবে। বিসিসিআই ভবিষ্যতের জন্য ৫০ ওভারের অধিনায়কত্ব থেকেও তাকে হটিয়ে দেয় তাহলে তা অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

টি২০ খেলাও ছেড়ে দিতে পারেন কোহলি

Advertisement

তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পর কোহলির অধিনায়কত্বে গেলেও টি-টোয়েন্টি দলে তিনি অবশ্য যদি খেলতে চান তাহলে তাকে বাদ দিয়ে দল গঠন এখনই সম্ভব নয়। যদিও মনে করা হচ্ছে যে, তিনি টি-টোয়েন্টিতেও সন্ন্যাস নিয়ে নিতে পারেন। কারণ এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, খুব শীঘ্রই তিনি সঙ্গে খেলবেন না। যেহেতু ইয়ং জেনারেশনের জন্য জায়গা ছেড়ে দিতে চান।

বিরাটের গ্রহণযোগ্যতা কমছে ?

এতে কোন সন্দেহ নেই যে ড্রেসিংরুমে এই মুহূর্তে টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডেতে বিরাটের ডেপুটি রোহিত শর্মা যথেষ্ট ভালো প্রভাব রয়েছে যিনি যুব খেলোয়াড়দের সাথে নিয়ে চলার বিষয়টি শিক্ষা নিয়েছেন এবং আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে তিনি ভাল নেতৃত্ব দিয়ে চ্যাম্পিয়ন করেছেন। ড্রেসিংরুমে বিগত কিছুদিন ধরে সম্পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছেন না বিরাট বলে খবর ছড়িয়েছে। তাকে খুব কাছ থেকে যারা দেখেছেন তারা মনে করছেন যে তার সিদ্ধান্ত এবং পদক্ষেপ ফলপ্রসূ হচ্ছে না। সাউদাম্পটনের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে দুই স্পিনার এর সঙ্গে নামার মতো সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা হচ্ছে।


কোহলির পিতৃত্বের অবকাশের ছুটিতে যাওয়ার পর থেকেই পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে

ভারত-ইংল্যান্ডের টেস্ট সিরিজ যতই ২-১ এগিয়ে থেকে শেষ করুক না কেন, পৃথিবীর এক নম্বর অফস্পিনার রবীচন্দ্রন অশ্বিন কেন খেলানো হল না, তা নিয়ে তার সমালোচনা হয়েছে। গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আগে ছিল কিন্তু ওই ম্যাচে ভারত অলআউট হয়ে যায় এবং কোহলি পিতৃত্বের ছুটিতে চলে যায় তারপর থেকে অজিঙ্কা রাহানে অধিনায়কত্ব সামলে ভারতকে সিরিজ জয় এনে দেন। কেউ এটি প্রকাশ্যে না বললেও বিরাট কোহলি না থাকা অবস্থায় যে পরিস্থিতি থেকে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ জয়ে এসেছে, তাতে যুব খেলোয়াড়দের অনেক বেশি মনে একজোট মনে হচ্ছিল বলে অনেকেরই বক্তব্য।

কোহলি ধরাছোঁয়ার বাইরে

মাঠের বাইরে বিরাট কোহলির সঙ্গে যোগাযোগ করা নাকি অত্যন্ত কঠিন ব্যাপার। এক প্রাক্তন খেলোয়াড় আলাপচারিতার দরুণ জানিয়েছিলেন, ধোনি যেমন ২৪ ঘন্টা দরজা খোলা রাখতেন এবং জুনিয়র খেলোয়াড়েরা তার ঘরে ঢোকে ভিডিও গেম খেলা থেকে শুরু করে গল্প-গুজব ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা করতে পারতেন, ওরকম জুনিয়ার খেলোয়াড়দের নিয়ে মাঝে মধ্যে বাইরে চলে যেতে পছন্দ করেন। তবে খেলার বাইরে নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকতে পছন্দ করেন এবং তার সঙ্গে যোগাযোগ করা কঠিন হয়ে পড়ে ফলে মানসিক দূরত্ব একটা রয়ে গেছে

বোর্ডের কাছে কি প্রস্তাব নিয়ে গেছেন কোহলি?

জানা যাচ্ছে এ কোহলি সিলেকশন কমিটির কাছে যে প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিলেন, রোহিত শর্মাকে একদিনের ম্যাচ থেকে vice-captain পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া যায়। কারণ তার ৩৪ বছর বয়স। তিনি চাইছিলেন, যে ওয়ানডে ম্যাচের ভাইস ক্যাপ্টেন করা হোক রাহুলকে। টি-টোয়েন্টিতে রিশব পন্তকে ভাইস ক্যাপ্টেন করা হোক। বিসিসিআই তাঁর দাবি পছন্দ করেনি।

রোহিতই টি২০ ক্যাপ্টেন

কোহলি অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর টি২০তে রোহিতকে সেই জায়গায় বসানো মোটামুটি পাকা। রাহুল এবং জসপ্রিত বুমরা ভাইস ক্যাপ্টেন এর দাবিদার হতে পারে।

 

Advertisement