Kolkata Derby East Bengal vs Mohun Bagan: 'জেতার মতো খেলিনি', কামিন্সদের পারফর্মেন্সে হতাশ দেবাশিস

ডার্বির আগে ইস্টবেঙ্গলকে কটাক্ষ করেছিলেন। তবে শনিবার হারের পর নিজের দলকেই অযোগ্য বলে বসলেন মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত। খাতায় কলমে অনেক এগিয়ে থেকেই শুরু করেছিল মোহনবাগান। তবে ম্যাচ শুরু হতেই বদলে যায় চিত্রটা।

Advertisement
'জেতার মতো খেলিনি', কামিন্সদের পারফর্মেন্সে হতাশ দেবাশিসইস্টবেঙ্গল দল ও দেবাশিস দত্ত

ডার্বির আগে ইস্টবেঙ্গলকে কটাক্ষ করেছিলেন। তবে শনিবার হারের পর নিজের দলকেই অযোগ্য বলে বসলেন মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত। খাতায় কলমে অনেক এগিয়ে থেকেই শুরু করেছিল মোহনবাগান। তবে ম্যাচ শুরু হতেই বদলে যায় চিত্রটা।


নন্দাকুমারের করা গোলে ম্যাচ হারের পর নিজেদের দলকে যোগ্য বলেই মানতে রাজি হলেন না সবুজ-মেরুন কর্তা। ডার্বি হারের পর দেবাশিস দত্ত বলেন, ‘আটটা ম্যাচ পর তো অবশেষে জিতল ইস্টবেঙ্গল। সেটা তো লাল-হলুদের জন্য ভালো হল। একদিন তো জিততই। সেটা আজ হল। তবে সেই কটাক্ষের পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গলের খেলার প্রশংসাও করেন দেবাশিস। তিনি জানান, আজ যোগ্য দল হিসেবে জিতেছে ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগান যা খেলেছে, তাতে আজ জয়ের এতটুকুও যোগ্যতা ছিল না।‘ ম্যাচ শেষ হওয়ার পর থেকেই নানা কটাক্ষ শুনতে হয় মোহনবাগান কর্তাকে। তিনি যখন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন তখনও তাঁর পেছন থেকে উঠছিল ‘ইস্টবেঙ্গল, ইস্টবেঙ্গল’ স্লোগান।


শেষে দেবাশিস আরও বলেন, ‘আমরা যে খেলাটা খেলেছি, তাতে আজ আমাদের জেতার যোগ্যতা ছিল না। ওরা (ইস্টবেঙ্গল) অনেক-অনেক ভালো ফুটবল খেলেছে।’ ডার্বির আগে যদিও একেবারে অন্য সুর শোনা গিয়েছিল দেবাশিসের গলায়। টিকিট সমস্যায় ক্ষুব্ধ ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের কটাক্ষ করে মোহনবাগান সচিব জানিয়েছিলেন, ‘ওরা হারের ভয় পালিয়ে যাচ্ছে।‘ তিনি আরও বলেন,  ‘টিকিট জট নিয়ে আমার কোনও চিন্তা নেই। দেখলেন না, একটা ক্লাবের (ইস্টবেঙ্গল) কর্মকর্তারা পালিয়ে গেলেন। আসছেনই না ম্যাচ দেখতে। আমি তো দুটি ম্যচে যাইনি। এই ম্যাচে যাচ্ছি। বলে যাচ্ছি যে জিতব।’ সঙ্গে তিনি বলেছিলেন, ‘ওঁরা (ইস্টবেঙ্গল কর্তারা) জানেন যে ম্যাচটা হারবেন। নিজের চোখে আর নয় নম্বর ডার্বি হারটা দেখতে চাইছেন না। সেই কারণে যাবে না বলেই টিকিট নেননি।’


যদিও ডার্বি জিতে দেবাশিসের এই প্রশ্নের কোনও উত্তরই দেননি ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। তিনি নাম না করে বলেন, ‘ওর পাগলামোতে কোনও উত্তর দিতে চাই না। ও অনেক ভাবনাচিন্তা করে কিংবা আবেগপ্রবণ হয়ে বলে কী না, জানি না। তবে মনে করেছিলাম যে চেয়ার বদলের সঙ্গে সঙ্গে স্বভাবটাও বদলে যাবে। কিন্তু, দেখলাম যে স্বভাবটা বদলায়নি। ওকে আমি পালটা জবাব দিতে চাই না। শুধু এটুকুই বলব যে ঈশ্বর যেন ওকে ক্ষমা করে দেয়। আমি মোহনবাগানকে এমন কোনও ভাষায় আক্রমণ করব না যাতে আমার প্রতিষ্ঠানের দিকে আঙুল ওঠে।‘ ইস্টবেঙ্গল দলের সমালোচকদেরও আক্রমণ করতে ছাড়লেন না দেবব্রত। তিনি বলেন, 'যাঁরা এতদিন ইস্টবেঙ্গল দল নিয়ে এত সমালোচনা করলেন, তাঁদের বলতে চাই যে আমরা পাঁচ বছর কলকাতা ডার্বিতে অপরাজেয় ছিলাম। এটা একটা খেলা।।' 
 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement