ডুরান্ড কাপের ফাইনালের আগে নিজেদের দলকে আরও শক্তিশালী করল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। ডুরান্ড কাপের ফাইনালে আবারও ডার্বি হবে। সেই ডার্বিতে প্রতিশোধ নিতে মরিয়া মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। সেই ম্যাচের আগে সই করলেন মিডফিল্ডার অজয় ছেত্রী।
কার্লেস কুয়াদ্রাতের তত্ত্বাবধানে বেঙ্গালুরু এফসিতে খেলেছেন ২৪ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার। এক বছরের জন্য ফের লাল-হলুদে সই করলেন অজয়। ২০১৭-১৮ সালে প্রথমবার আইএসএল-এ খেলেছিলেন অজয়। এই মিডফিল্ডারকে সই করানোর পর কুয়াদ্রাত বলেন, ‘অজয় আমার অধীনে বেঙ্গালুরু এফসিতে খেলেছে। এরপর হায়দরাবাদ এফসি, ইস্টবেঙ্গল এবং গত মরশুমে আই-লিগ চ্যাম্পিয়ন দলেও ছিল। ইস্টবেঙ্গলের মতো ঐতিহ্যবাহী ক্লাবের হয়ে খেলার মানে কী তা তিনি ইতিমধ্যেই জানে। আনন্দিত এমন একজন খেলোয়াড়কে একটি নতুন সুযোগ দিতে পেরে যে আমার তত্ত্বাবধানে আইএসএল-এ অভিষেক করেছিল।‘
রেড অ্যান্ড গোল্ড ব্রিগেডে যোগ দিয়ে উচ্ছ্বসিত অজয়। তিনি বলেন, ‘আমি ফিরে আসতে পেরে খুব খুশি। আমার উপর আস্থা রাখার জন্য আমি ইমামি গ্রুপ, ক্লাব এবং কোচ কার্লেসের কাছে কৃতজ্ঞ।‘ এর আগে তিনি যখন ইস্টবেঙ্গলের জার্সি গায়ে খেলতে নেমেছিলেন, তখন ছিল কোভিডের আবহ। ফলে মাঠে দর্শক ছিল না। তবে এবার মাঠ ভর্তি দর্শকের সামনে খেলতে পারবেন ভেবেই রোমাঞ্চিত অজয়। তিনি বলেন, ‘এর আগেও ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলেছি। কিন্তু সেই সময় কোভিড থাকায় মাঠে দর্শক ছিল না। তবে এবার ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের সামনে খেলার অভিজ্ঞতা। আমি আমার যোগ্যতা প্রমাণ করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব।‘
ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ইস্টবেঙ্গলের দরকার ছিল। বেশ কয়েকজন ফুটবলারের সঙ্গে কথা বললেও টাকা-পয়সা ও অন্যান্য কারণে তা আর হয়নি। তবে এবার অজয়কে সই করিয়ে চমক দিল ইস্টবেঙ্গল। তরুণ এই মিডফিল্ডার গত মরশুমে আই লিগে ১৯টি ম্যাচ খেলেছেন, একটি গোল করেছেন এবং তিনটি অ্যাসিস্ট করেছেন। এবার লাল-হলুদের জার্সিতে প্রত্যাবর্তন করে সফল হতে পারেন কিনা সেটাই দেখার।