ডুরান্ড তিন ম্যাচে ৩৩ জন ফুটবলরকে খেলিয়েছে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। নিয়ম অনুসারে, ৩০ জন ফুটবলরকে খেলানো যায়। আর এ নিয়েই অভিযোগ জানালেন ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। ডার্বি জেতার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ক্ষোভের কথা জানান লাল-হলুদ কোচ।
ম্যাচ শেষে কুয়াদ্রাত বলেন, ‘ওরা ৩৩ জন ফুটবলার রেজিস্ট্রেশন করিয়েছে। অথচ, ৩০ জন ফুটবলারকে রেজিস্ট্রেশন করানোর নিয়ম। আমরা চিঠি দিচ্ছি।‘সবুজ-মেরুন জার্সিতে একের পর এক সুপারস্টার। কাকে ছেড়ে কার কথা বলবেন? ইউরো কাপ, বিশ্বকাপ খেলা তারকা। ভারতের জাতীয় দলের একাধিক ফুটবলার মোহনবাগান দলে তবুও হার এড়ানো গেল না। আর তার মধ্যেই গোদের ওপর বিষফোঁড়া কার্লেস কুয়াদ্রাতের এই অভিযোগ। সব মিলিয়ে সমালোচনায় বিদ্ধ মোহনবাগান দল। ইস্টবেঙ্গল কোচ খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘মোহনবাগান স্কোয়াডে তো অনেক তারকা। দল গড়তে প্রচুর অর্থ খরচ করেছে। ইউরো কাপ, বিশ্বকাপে খেলা তারকা রয়েছে ওঁদের। তবে ওঁরা এখনও ম্যাচ ফিট নয়। কামিন্স, সাদিকু, পেত্রাতোসের মত ফুটবলারকে ওঁরা অল্প সময়ের জন্য ব্যবহার করতে পেরেছে। হ্যাঁ, ডুরান্ড প্রাক মরশুম টুর্নামেন্ট। এখানে সকলকে সমানভাবে ম্যাচে নামানো যায় না। তবে ওঁদের দেখে মোটেও ফিট মনে হয়নি।
ম্যাচ জিতে সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন লাল-হলুদ কোচ। পাশাপাশি সমর্থকরাও সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনকি ম্যাচ শেষ হওয়ার পর মাঠে নেমে এসে কুয়াদ্রাত সহ বাকি ফুটবলারদের পা ধরে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ডুরান্ড প্রি সিজন টুর্নামেন্ট হলেও, এই ডার্বি জয়, গোটা মরশুমে লাল-হলুদ জনতাকে বেশ কিছুটা অক্সিজেন দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
ডার্বি জয়ের পর অতীতের ম্যাচের প্রসঙ্গও কুয়াদ্রাতের গলায়। ‘দিন কয়েক আগেই পয়েন্ট হারাতে হয়েছিল প্ৰথম ম্যাচে। কিন্তু সেই স্মৃতি মুছে ভালভাবে ঘুরে দাঁড়ানোই লক্ষ্য ছিল। আমি আসলে ফুটবলারদের মধ্যে ফাইটিং স্পিরিট তৈরি করতে চাই। ফুটবল এমন যখন কোনও ম্যাচে কেউ নায়ক হয়, অন্যদিন সে-ই খলনায়ক হয়। অনুশীলনে আমরা প্রত্যেকেই কঠোর পরিশ্রম করছি।‘ পাশাপাশি তিনি যোগ করেন, ‘বাংলাদেশ ম্যাচটা আমাদের অনেক শিক্ষা দিয়ে গিয়েছে। ওই দিনের ভুলটা যাতে ফের না হয়, সেটাই লক্ষ্য ছিল। ওই ম্যাচ ড্র করার পরেও সমর্থকরা অভিবাদন জানিয়েছিলেন। তাই এই মুহূর্তটা ওদের।‘
স্বপ্নের জয়ের পরেও পা রয়েছে মাটিতে। এখনই আবেগে ভেসে যেতে চান না। বরং মাটিতে পা রেখে অল্প অল্প করে লক্ষ্যে পৌঁছতে চান। ডার্বি জিতলেও ডুরান্ডকে প্রাক মরশুম টুর্নামেন্টের বেশি ধরছেন না স্প্যানিশ কোচ। তাই পাখির চোখ করছেন আইএসএল-কে। প্ৰথম ম্যাচে বাংলাদেশ আর্মির বিপক্ষে জেতা ম্যাচ মাঠে ফেলে এসেছিল, লাল-হলুদ শিবির।