কলকাতা লিগ দিয়েই এবারের মরশুম শুরু হতে চলেছে। তবে কলকাতা লিগে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানকে আলাদা দুই গ্রুপে রাখা হয়েছে। তবে শোনা যাচ্ছে ডুরান্ড কাপে মুখোমুখি হতে পারে বাংলার দুই বড় দলের ম্যাচ।
কবে কোথায় অনুষ্ঠিত হবে ডুরান্ড কাপ ডার্বি
আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনও ঘোষণা হয়নি ডুরান্ড কাপের সূচি। তবে সূত্রের খবর, ১২ আগস্ট হতে পারে মরশুমের প্রথম ডার্বি। স্বাধীনতা দিবসের আগেই কলকাতা ডার্বি দেখতে পাবেন ফ্যানরা। বাঙালির কাছে ডার্বি মানেই বিরাট একটা উৎসব। এই ম্যাচ ঘিরেই দুই ভাগে ভাগ হয় বাংলা। ইস্ট-মোহনের লড়াই ঘিরে আবেগ, উদ্দীপনা, উন্মদনা ফুটবলপ্রেমী বাঙালিকে জড়িয়ে রাখে। শোনা গিয়েছে, ৩ আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে ডুরান্ড কাপ। ফাইনাল ম্যাচ ৩ সেপ্টেম্বর। এই বছরের টুর্নামেন্টে শুধু ভারত নয়, প্রতিবেশি দেশ নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশে।
ডুরান্ড কাপের উব্দোধন হবে কলকাতায়। ফাইনাল ম্যাচও অনুষ্ঠিত হবে ফুটবলের মক্কায়। তবে ডার্বি কোথায় হবে, সেটা এখনও জাননো যায়নি। গুয়াহাটি, কোকরাঝাড়, শিলংয়েও অনুষ্ঠিত হবে ডুরান্ড কাপের ম্যাচ। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান ছাড়াও কলকাতার তৃতীয় প্রধান মহমেডান স্পোর্টিংও প্রতি বছরের মতো এই বছরেও অংশ নেবে ডুরান্ড কাপে।
শুধু বাংলার তিন বড় ক্লাব নয়, বাকি দলগুলির মধ্যে রয়েছে বেঙ্গালুরু এফসি, মুম্বই সিটি এফসি, কেরল ব্লাস্টার্স, জামশেদপুর এফসি, ওড়িশা এফসি, নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড, হায়দরাবাদ এফসি, চেন্নাইয়িন এফসি, রাউন্ডগ্লাস পঞ্জাব এফসি, এফসি গোয়া, গোকুলম কেরল এফসি, রাজস্থান ইউনাইটেড, শিলং লাজং, দিল্লি এফসি, বোড়োল্যান্ড এফসি, ইন্ডিয়ান আর্মি ফুটবল টিম, ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স ফুটবল টিম, ইন্ডিয়ান নেভি ফুটবল টিম। এছাড়াও রয়েছে বাংলাদেশ সার্ভিসেস, ভুটান সার্ভিসেস এবং নেপাল সার্ভিসেস। মোট ২৪টি দলকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের ডুরান্ড কাপ।
১৫ আগস্ট এএফসি কাপের ম্যাচে খেলার কথা ছিল মোহনবাগানের। তবে স্বাধীনতা দিবসের দিনে ম্যাচ খেলার ব্যাপারে আপত্তি তুলেছিল সবুজ-মেরুন। মোহনবাগানের এএফসি কাপের ম্যাচ একদিন পিছোতে চলেছে। ১৫ অগস্টের বদলে সম্ভবত ১৬ অগস্ট হবে এএফসি কাপের ম্যাচ। আর তার আগেই হতে পারে ডার্বি। ধারাবাহিক ভাবে ডার্বি ম্যাচে হেরে চলেছে ইস্টবেঙ্গল। নতুন মরশুমে কি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে লাল-হলুদ ক্লাব? সেটাই এখন প্রশ্ন। তবে শোনা যাচ্ছে, ডুরান্ড কাপে দুই ক্লাবই রিজার্ভ দল খেলাবে।