অবশেষে ভিসা হাতে পেলেন ইস্টবেঙ্গলের হেড কোচ অস্কার ব্রুজো। শুক্রবার অর্থাৎ ডার্বি ম্যাচের ঠিক একদিন আগে শহরে চলে আসার কথা রয়েছে তাঁর। ফলে ডার্বিতে তিনিই কোচের হটসিটে বসতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্তও এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছিল, আদৌ মোহনবাগানের মুখোমুখি হওয়ার আগে কলকাতায় এসে পৌঁছবেন তো ব্রুজো? তবে দুপুরে ভিসা পান এই স্প্যানিশ কোচ।
বৃহস্পতিবার ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতেই রুদ্ধধার অনুশীলন সারে লাল-হলুদ ব্রিগেড। চোটের কারণে ডার্বিতে না থাকলেও, বৃহস্পতিবার হাজির ছিলেন নাওরেম মহেশ সিং। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে কুঁচকির চোটের জায়গায় আগামী দু-একদিনের মধ্যেই ফের একবার এমআরআই হবে মহেশের। তারপরেই বোঝা যাবে তাঁর চোট ঠিক কতটা গুরুতর। মহেশের না থাকা লাল-হলুদের জন্য যে বড় ধাক্কা তা আর বোলার অপেক্ষা রাখে না।
ডার্বির আগে ফুটবলারদের মনোবল বাড়াতে লাল-হলুদ তাঁবুতে হাজির হয়েছিলেন ইমামি কর্তারা। ছিলেন আদিত্য আগরওয়াল, বিভাস আগরওয়াল সহ অন্যান্যরা। এছাড়াও ছিলেন ইস্টবেঙ্গল সভাপতি মুরারি লাল লোহিয়া এবং ক্লাব শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। মিনিট পনেরোর সাক্ষাতে ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলেন কর্তারা। মাঠ ছাড়ার সময়, দলের আক্রমণভাগের ভরসা ক্লেইটন সিলভা বলেন, 'আমাদের উপরে কোনও চাপ নেই। আমরা সব সময় এই বড় ম্যাচের জন্যই অপেক্ষায় থাকি। ৬০ হাজার দর্শকের সামনে খেলতে নামাটাই একটা বাড়তি মোটিভেশন। ভাল লাগল যে কর্তারা আমাদের পাশে থেকে মনোবল বাড়ালেন। আমি আশাবাদী ডার্বি জিতে আমরা খারাপ সময় কাটিয়ে উঠব।'
ডার্বির আরও এক তারকা নন্দাকুমার বলেন, 'আমাদের এই খারাপ পরিস্থিতি থেকে বেরোতেই হবে, এবং তার জন্য ডার্বিটা জিততে হবে। আমরা সকলে মিলে সেই চেষ্টাই করব।' এদিকে জানা যাচ্ছে ইস্টবেঙ্গলের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত ডার্বির জন্য মোট ৫০ হাজার টিকিট ছাড়া হয়েছে। তার মধ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা অবধি সাকুল্যে ২২ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। তবে এটি ইস্টবেঙ্গলের হোম ম্যাচ হলেও, মোহনবাগানের টিকিট এখনও পর্যন্ত বেশি বিক্রি হয়েছে।