মোহনবাগানফুটবলে চাপে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। কিছুদিন আগেই ডার্বি ড্র করে সুপার কাপ থেকে ছিটকে যেতে হয়েছে। তবে ক্রিকেটে জেসি মুখোপাধ্যায় ট্রফির ম্যাচে লাল-হলুদকে হারাল সবুজ-মেরুন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ৪ উইকেটে জিতল মোহনবাগান। গতবার এই টি২০ ট্রফি জিতেছিল তারা। এবারেও সেই ট্রফি ধরে রাখতে মরিয়া মোহনবাগান।
মরসুমের প্রথম ম্যাচ জেতার পর, দ্বিতীয় ম্যাচে ডার্বিতে ২ বল বাকি থাকতে জিতল মোহনবাগান। অন্যদিকে পড়পড় দুই ম্যাচ হেরে চাপে ইস্টবেঙ্গল। প্রথম ম্যাচে তারা হেরে গিয়েছিল তপন মেমোরিয়ালের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে মোহনবাগান প্রথম ম্যাচে মহমেডান স্পোর্টিং-কে হারিয়ে দিয়েছিল ১৫ রানে। ফলে জয়ের ধারা অব্যহত থাকল তাদের।
রবিবার টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় মোহনবাগান। ঋতম পোড়েল সেঞ্চুরি মিস করলেও (৫৬ বলে ৯৬ রানে আউট হন তিনি), ২০ ওভারে ইস্টবেঙ্গল ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান করে। আটটি চারের পাশাপাশি পাঁচটি ছয় দিয়ে সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। কিন্তু তাঁকে সঙ্গ দিয়ে কেউই সেভাবে বড় রান করতে পারেননি। মোহনবাগানের আমির গনি ও জেসাল কারিয়া ১টি করে উইকেট নেন।
জবাবে মোহনবাগানকে জয়ের রাস্তা প্রশস্ত করেন অভিষেক রামন। উইকেটকিপার কাইফ আহমেদকে সঙ্গ নিয়ে বড় ইনিংস গড়েন তিনি। কিন্তু আচমকা কাইফ, জেসাল ও প্রদীপ্ত প্রামাণিকের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় মোহনবাগান। অভিষেক করেন ৩৬ রান এবং কাইফ করেন ২৯ রান। অন্যদিকে ঝড় তুলে দেন চিরাগ গান্ধী। ৩০ বলে ৫৪ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। শেষ ওভারে দরকার ছিল ৯ রান। সন্দীপন দাসের জোড়া চার হাঁকিয়ে মরশুমের প্রথম ক্রিকেট ডার্বির জয় নিশ্চিত করেন আমির গনি, চিরাগ গান্ধীরা। ইস্টবেঙ্গলের সৌরভ হালদার ৩৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে শেষরক্ষা করতে পারেননি। মরশুমের প্রথম ডার্বি সবুজ-মেরুন রঙে রাঙিয়ে মাঠ ছাড়েন চিরাগ। সেখানে টানা দুই ম্যাচ হারল ইস্টবেঙ্গল।