ডার্বির আগের দিন টোটো করে অনুশীলনে আসতে হল ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের। আরও একবার প্রশ্নের মুখে ডুরান্ড কাপ। টিকিট বিতর্কে মুখ পুড়েছে ডুরান্ড আয়োজকদের। আর এবার সময়মতো বাস না পাওয়ার অভিযোগ। তাও ডার্বির আগের দিন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলনে দেখা গেল অপেশাদারিত্বের এই ছবি। চার বিদেশি ফুটবলার জাভিয়ের সিভেরিও, সল ক্রেস্পো, বোরহা হেরেরা ও জর্ডান এলসে টোটো করে অনুশীলন করতে এলেন। এই ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ডুরান্ড কমিটির দেওয়া বাস দেরিতে আসার কারণে টোটো করেই অনুশীলনে আসতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলের চার বিদেশি ফুটবলারের। এ নিয়ে যদিও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মোহনবাগান সমর্থকরা। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা যদিও এমন ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই বেশ ক্ষুব্ধ। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগের দিন কেন এমন ঘটনা ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন লাল-হলুদ সমর্থকরা।
ডার্বির দিন নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করছে বিধাননগর কমিশনারেট। ৬৩৫০০ দর্শকের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। শনিবারের ম্যাচে ব্যানার, পোস্টার, টিফো, ড্রাম নিষিদ্ধ ডুরান্ড কাপের ডার্বিতে। নির্দেশিকা জারি করলো বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট ও ডুরান্ড কমিটি। গত কয়েক বছরে ডার্বিতে অন্য মাত্রা যোগ করেছে দুর্দান্ত টিফো। দুই দলের আল্ট্রাস সমর্থকরা টিফো বানিয়ে তাক লাগিয়ে দেন। তবে এবার ডুরান্ড কাপে হয়ত তেমনটা হচ্ছে না। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘শনিবারের ম্যাচে ব্যানার, পোস্টার, টিফো, ড্রাম নিষিদ্ধ। ঢোকা যাবে না, দেশলাই, লাইটার বা বাজি নিয়েও।‘
পুলিশের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দুই দলের সমর্থকরাই। প্রিয় দলের সমর্থনে অনেকেই টিফো বা ব্যানার নিয়ে আসেন। তা এবারের না হওয়ায় ক্ষুব্ধ তাঁরা। এমনিতেই টিকিট নিয়ে ক্ষোভের সুর শোনা গিয়েছিল সমর্থকদের মধ্যে। আর এবার মাঠে ব্যানার নিয়ে আসতে বাধা দেওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন তাঁরা।
ডার্বি ম্যাচে বারেবারে উত্তপ্ত হয় কাদাপাড়া অঞ্চল। সেখানেও নিরাপত্তা আঁটসাঁট করার সিদ্ধান্ত নিল পুলিশ। শুধু তাই নয়, গেটের বাইরে অতিরিক্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। লাগানো হচ্ছে, সিসিটিভিও। যারা গাড়ি নিয়ে ম্যাচ দেখতে আসবেন তাদের জন্যও নির্দিষ্ট জায়গায় পার্কিং-এর ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ভিআইপিদের জন্যও আলাদা পার্কিং থাকছে। পুলিশের পক্ষ থেকে ম্যাচ শুরু হওয়ার বেশ কিছুটা সময় আগে মাঠে ঢুকে নিজেদের আসন গ্রহন করার আবেদন জানানো হয়েছে।