ফের বদলে গেল ডার্বির (Kolkata Derby) তারিখ। ১০ মার্চ তৃনমূলের (Trinamool Congress) ব্রিগেডের জেরে বদলে গেল ডার্বির তারিখ। নিরাপত্তা জনিত সমস্যার জেরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে কবে এই ফিরতি ডার্বি আয়োজন করা হবে তা এখনও জানানো হয়নি। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছে, ডার্বি ম্যাচ যুবভারতীতে আয়োজন করা সম্ভব নয়।
মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের দায়িত্ব ছিল আগের ডার্বি আয়োজনের। এবার ডার্বি আয়োজন করবে ইস্টবেঙ্গল। তবে ১০ মার্চের জায়গায় পরে ডার্বি হওয়ায় কিছুটা হলেও সুবিধা পাবে লাল-হলুদই। মর্যাদার এই লড়াইয়ে চোট পাওয়া ফুটবলাররা ফিরে আসবেন। ইতিমধ্যেই কলকাতায় এসে রিহ্যাব শুরু করে দিয়েছেন জর্ডন এলসে। মাঝমাঠে তাঁর উপস্থিতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের কাছে। ফলে ডার্বি ম্যাচে তাঁকে পেয়ে গেলে আরও শক্তিশালি হবে দল। শুধু তাই নয়, ফেলিসিও ফোর্বস, ভিক্টর ভাসকেজ পুরোপুরি ফিট হতে পারেননি। এই দুই ফুটবলার ম্যাচ ফিট হতে আরও কিছুটা সময় পেয়ে যাবেন। সেক্ষেত্রে আরও ভাল হবে লাল-হলুদের জন্য।
যদিও, সূত্রের খবর ক্রীড়ামন্ত্রক চেয়েছিল, ১০ মার্চই ডার্বি করতে। সকালে শাসক দলের সভা থাকলেও, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ডার্বি আয়োজন হলে সমস্যা হবে না বলেই জানিয়েছিলেন তাঁরা। তবে পুলিশের যুক্তি, ওইদিন যুবভারতীতে আসবেন প্রচুর মানুষ। বড় কোনও রাজনৈতিক সভা হলে, স্টেডিয়ামে অনেকের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। সেই কারণে এত লোককে সামাল দেওয়া মুশকিল হতে পারে। ঘটে যেতে পারে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি। আর তা এড়াতেই এবার ডার্বি পিছিয়ে দেওয়ার কথা জনানো হল।
এবারের আইএসএল-এ বেশ কঠিন পরিস্থিতিতে ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচ হেরে, ড্র করে সুপার সিক্সের লড়াই কঠিন করে ফেলছে লাল-হলুদ। অন্যদিকে মোহনবাগান চাইছে শীর্ষস্থানে পৌঁছে যেতে। আবার সুপার কাপের ডার্বি হারের বদলাও মাথায় ঘুরছে তাদের। ফলে ডার্বি যেদিনই হোক দারুণ লড়াই দেখতে পাবেন ফুটবল প্রেমীরা।