জিতল মোহনবাগানকলকাতা লিগের মিনি ডার্বিতে ড্র করল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। মহমেডান স্পোর্টিং-এর বিরুদ্ধে কল্যাণী স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই বৃষ্টি কিছুটা সমস্যায় ফেলেছিল দুই দলকেই। ম্যাচ শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই একের পর এক আক্রমণ হতে থাকে মোহনবাগানের গোল লক্ষ করে। পিছিয়ে পড়লেও টাইসনের গোলে মহমেডানকে ২-১ গোলে এগিয়ে গিয়েও মোহনবাগান ম্যাচটা জিততে পারল না। শেষ মুহূর্তে গোল করে সমতা ফেরান শেখ ফৈয়াজ।
সুপার সিক্সে যেতে পারবে মোহনবাগান?
এখনও কলকাতা লিগের সুপার সিক্সে যাওয়ার আশা টিকে থাকল মোহনবাগানের। শেষ ম্যাচ জিততে পারলে সুপার সিক্সে চলে যেতে পারবে তারা। ম্যাচের ১৮ মিনিটে যদিও প্রথম সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল মোহনবাগানই। অভিষেকের শট সেভ করেন মহামেডান গোলকিপার বিয়াকা। এর পরের মিনিটেই গোল পেয়ে যায় সাদা-কালো শিবির। ডানদিক থেকে উঠে এসে সেন্টার করার চেষ্টা করেন রেমসাঙ্গা। তবে তাঁর নিরীহ শট মোহনবাগান গোলকিপার জাহিদ ধরতেই পারেননি। তাঁর পায়ের তলা দিয়ে বল গোলের মধ্যে ঢুকে যায়। গোল পাওয়ার পরেই আবারও সুযোগ তৈরি করে মহমেডান। ২৩ মিনিটে গোললাইন সেভ করেন মোহনবাগানের রাজ বাস্ফোর। নয়ত ব্যবধান আরও বেড়ে যেতে পারত। বেশ কয়েকবার সুযোগ পেয়েও গিয়েছিল মোহনবাগান। তবে তার থেকে গোল হয়নি।
গোলরক্ষক পরিবর্তন করে মোহনবাগান
২৬ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ এসে গিয়েছিল সবুজ-মেরুনের সামনে। কিয়ান নাসিরির শট প্রতিহত হলে, ফিরতি বল পান ভিয়ান। তাঁর শট যদিও বাইরে চলে যায়। প্রথমার্ধেই গোলরক্ষক পরিবর্তন করেন মোহনবাগান কোচ বাস্তব রায়। জাহিদের জায়গায় দেবনাথ মন্ডলকে নামায় মোহনবাগান।
শেষ মুহূর্তে সমতা ফেরাল মহমেডান
দ্বিতীয়ার্ধে সমতা ফেরায় মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। গোল করেন কিয়ান নাসিরি। ৫৮ মিনিটে তাঁর করা গোল সবুজ-মেরুনকে অক্সিজেন এনে দেয়। ডানদিক থেকে ভেসে আসা ক্রস দারুণ ভাবে বুকে রিসিভ করেন কিয়ান। এগিয়ে আসা ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষককে এড়িয়ে আলতো পুশ করে বল জালে জড়িয়ে দেন কিয়ান। এর আগে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে আইএসএল-এ হ্যাটট্রিক করেছিলেন কিয়ান। আর এবার মহমেডানের বিরুদ্ধেও গোল পেলেন মোহনবাগান স্ট্রাইকার।
৮০ মিনিটে টাইসনের অসাধারণ গোলে ম্যাচ জেতে মোহনবাগান। অসাধারণ কার্লার শটে বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি।