লিওনেল মেসির (Lionel Messi) ফুটবল কেরিয়ারে বিরাট ভূমিকা পালন করেছিলেন তাঁর ঠাকুমা (Lionel Messi Grand Mother)। গোল করলেই তাই ঠাকুমাকে স্মরণ করেন সুপারস্টার ফুটবলার। গোলের পর তাঁর সেলিব্রেশনের স্টাইল বেশ জনপ্রিয়। বিশ্বকাপ (FIFA World Cup 2022) ফাইনালেও দেখা গিয়েছিল এমনই দৃশ্য। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ফাইনাল ম্যাচে শেষ পেনাল্টির সময়ও তাঁকে বিড়বিড় করতে দেখা যায়। পাশাপাশি গোলের পর আকাশের দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে দেখা যায়।
সম্প্রতি এক ভিডিওতে এই ঘটনা দেখা গিয়েছে। আর তাতে দেখা গিয়েছে মেসি বলছেন, 'আজই হয়ত সেই দিন।' সেই সময় আর্জেন্টিনার মন্টিয়েল সেই সময় পেনাল্টি নিতে যাচ্ছিলেন। পেনাল্টি থেকে গোল হওয়ার পর হাঁটু মুড়ে বসে পড়েন মেসি। ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জিতে নেয় আর্জেন্টিনা।
আরও পড়ুন:শোয়েবের সঙ্গে ডিভোর্সটা হচ্ছেই সানিয়ার? নয়া পোস্টে ইঙ্গিত জোরাল
১৯৯৮ সালে মেসির ঠাকুমা সিলিয়া অলিভিয়েরা প্রয়াত হন। তখন মেসির বয়স মাত্র ১১ বছর। ঠাকুমা না থাকলে মেসিকে হয়ত ফুটবল খেলতে দেখাই যেত না। মেসি নয়, স্থানীয় ক্লাব গ্রান্দোলির হয়ে খেলতেন মেসির দাদা। একবার ম্যাচের দিন একজন ফুটবলার কম ছিল। সেই সময় সিলিয়া বলেন, 'মেসি খেলুক এই ম্যাচে।' তখন আর্জেন্টিনার তারকার বয়স ছিল মাত্র চার বছর। বড়দের সঙ্গে খেলতে গেলে চোট লেগে যেতে পারে। দলের কোচ জানিয়ে দেন, 'এত ছোট ছেলেকে দলে নেওয়া যাবে না।' তবে সিলিয়া লড়াই ছাড়েননি। তাঁর জেদেই দলে ঢোকেন লিওনেল মেসি। দুটো গোলও করেন।
আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ওপেন করবেন ইশান কিষান? উত্তর দিলেন রোহিত
এরপরেই দলে নিয়মিত সুযোগ পেতে থাকেন মেসি। যদিও দুর্বল দলের হয়ে খেলতে চাননি মেসি। তাঁর ঠাকুমা বোঝান মেসিকে। বড় দলে খেলতে গেলে প্রথম একাদশে সুযোগ পাবেন না মেসি। সেই জন্যই তাঁর উচিত গ্রান্দোলির হয়েই খেলা চালিয়ে যাওয়া। তাঁর এই পরামর্শ মেনে নেন মেসি।
মেসি যে বড় ফুটবলার হতে পারেন তা অনেক আগেই জানতে পেরে গিয়েছিলেন তাঁর ঠাকুমা। সেই জন্যই ঠাকুমাকে এতটা ভালবাসেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার।