শেষ ওভারে নাটক। বলা ভালো শেষ দুই বলেই বদলে গেল সবটা। ছক্কা আর চার মেরে চেন্নাইকে (Chennai Super Kings) চ্যাম্পিয়ন করার পর ডাগ আউটের দিকে ছুটে আসতে থাকেন রবীব্দ্র জাদেজা (Ravindra Jadeja)। তিক্ততা ভুলে নায়ককে কোলে তুলে নেন চেন্নাই ক্যাপ্টেন ধোনি (Mahendra Singh Dhoni)। আবেগ বাঁধ ভাঙে। চোখে জল চলে আসে মাহির।
কেঁদে ফেললেন ধোনি
আসলে বড় রান তাড়া করতে নেমেই বৃষ্টি সমস্যা তৈরি করে। প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় টানা বৃষ্টি চলতে থাকে। মাঠ খেলার মতো জায়গায় আসতেই ১৫ ওভারে ১৭২ রানের টার্গেট পায় চেন্নাই। সেই লক্ষ্যে একটা সময় পৌঁছান প্রায় অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছিল চেন্নাইয়ের। একের পর এক উইকেট খুইয়ে সেই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। শেষ দুই বলে দরকার ছিল ১০ রান। পঞ্চম বলে ছক্কা মেরে চেন্নাইয়ের আশা জিইয়ে রেখেছিলেন জাদেজা। শেষ বলে চার মেরে ম্যাচ জেতান তিনি। এমন অলৌকিক জয়ের পরে নায়ককে কোলে তুলে কেঁদে ফেলেন মাহি।
আরও পড়ুন: 'ঝগড়া' ভুলে কোলে তুলে নিলেন, কী ঘটেছিল ধোনি-জাডেজার?
এই ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। জয়ের পরে সেলিব্রেশনের এই ভিডিও শেয়ার করেছে চেন্নাই সুপার কিংসও। সেখানে খেলা হয়েছে, ‘খুশির কান্না।‘ ধোনির হাতে কাপ উঠবে এই প্রত্যাশায় বিভিন্ন রাজ্য থেকে ফ্যানরা গিয়েছিলেন আহমেদাবাদে। রবিবার বৃষ্টির জন্য ম্যাচ বাতিল হলেও, সোমবার ধোনি ধামাকা দেখতে ফের হাজির হন তাঁরা। শুধু আহমেদাবাদ বলে নয়, গোটা দেশে যে কোনও প্রান্তে ধোনি যখনই খেলতে গিয়েছেন, তখনই ছুটে গিয়েছেন সমর্থকরা।
আরও পড়ুন: ধোনি IPL থেকেও অবসর নিচ্ছেন? বড় আপডেট দিলেন নিজেই
আর এই সমস্ত সমর্থকদের হতাশ করেননি মাহি। ফাইনাল ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও তাঁর তীক্ষ্ণ বুদ্ধি দলকে জয় এনে দিয়েছে। উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে ফিরিয়ে দিয়েছেন দুরন্ত ফর্মে থাকা শুভমন গিলকে। দর্শকদের দারুণ উদ্দীপনা দেখে পরের মরশুমেও খেলা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন ধোনি। যা তাঁর ফ্যানদের স্বস্তি দিয়েছে। ম্যাচ শেষে ধোনি বলেন, ‘‘সমস্ত দিক বিচার করে দেখলে, আমার অবসর নিয়ে নেওয়া উচিত। এটাই সঠিক সময়। কঠিন কাজ হল, আরও নয় মাস এভাবে চালিয়ে যাওয়া এবং পরের মরশুমের জন্য প্রস্তুতি চালিয়ে যাওয়া। দেখতে হবে শরীর কতটা সাহায্য করে।‘ সঙ্গে তিনি আরও বলেন, 'তবে আমি এটা অবশ্যই বলব যে চেন্নাই সুপার কিংস ফ্যানেদের থেকে আমি যে ভালোবাসা পেয়েছি, তার জন্য আরও একটা আইপিএল মরশুম খেলা যেতেই পারে। যেভাবে ওরা আবেগ এবং ভালোবাসায় আমাকে ভরিয়ে দিয়েছে, সেইদিকে তাকিয়ে এটুকু তো আমি করতেই পারে। এটা আমার কেরিয়ারের একটা অংশ। আমি এখান থেকেই শুরু করেছিলাম। গোটা মাঠ আমার জন্য চিৎকার করেছে। ফলে চেন্নাইয়ের জন্য আরও একটা মরশুম আমি খেলতেই পারি।'