Mohammed Shamiখেলেছেন মোহনবাগানের (Mohun Bagan) হয়ে। তবে পুরস্কার দিল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। ১০৫ তম প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন মহম্মদ শামিকে (Mohammed Shami) বিশেষ পুরস্কার দিল লাল-হলুদ ক্লাব। ভারতীয় ক্রিকেট দলের (Indian Cricket Team) এই তারকা পেসারকে ‘প্রাইড অফ বেঙ্গল’ সম্মানে ভূষিত করল ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান ছিল ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে। সেখানে উপস্থিত হতেই শামিকে প্রস্তাব দেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। তিনি বলেন, 'তুমি আমাদের হয়ে খেলো।' মঞ্চে উঠে সেই প্রশ্নের জবাব দিলেন শামি। বলেন, 'আমাকে একটু সময় দিন। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, কালীঘাটের মতো ক্লাবের হয়ে কে না খেলতে চায়! তবে বহুদিন ক্লাব লিগে খেলিনি। আশা রাখি একদিন নিশ্চয় খেলব।'
চোটের জন্য ভারতীয় দল থেকে ছিটকে গেলেও ফিরে আসার প্রবল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন শামি। সেই কারণেই তাঁকে যখন প্রশ্ন করা হয়, তিনি কবে ভারতের জার্সি গায়ে মাঠে নাবেন তখন বলেন, 'খুব কঠিন এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া।' চোট থেকে ফেরার চেষ্টা করতে থাকা শামিখন নেটে হালকা বোলিং শুরু করলেও, পুরোপুরি ম্যাচ ফিট তা বলা যাবে না। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে দারুণ ছন্দে ছিলেন ভারতীয় দলের পেসার। কিন্তু তারপরেই গোড়ালির চোট তাঁকে কাবু করে।
তবে এবারে ফিরে আসার চেষ্টা চালাচ্ছেন শামি। বাংলা দলের হয়েও সুযোগ পেলে খেলতে পারেন এমন ইঙ্গিতই দিয়ে গেলেন তিনি। পাশাপাশি নিজের ফেলে আসা দিনের কথা জানাতে গিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Sourav Ganguly) কৃতিত্ব দিতে ভুললেন না তিনি। বলেন, ' সত্যি কথা বলতে কী, বাংলা আমাকে পরিচিতি দিয়েছে, আমাকে খ্যাতি দিয়েছে, আমাকে যশ দিয়েছে, এমন পরিচিতি-খ্যাতি দেয়নি আমার জন্মস্থান উত্তরপ্রদেশও দেয়নি। বাইরে থেকে এলে বিশ্বাস দেরিতে আসে। কিন্তু দাদি (সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়) লক্ষ্মীরতন শুক্লাদের বিশ্বাস, আস্থা অর্জন করতে পেরেছি বলেই বিশ্বাস করি।'
পাশাপাশি ভারতীয় দলের অন্যতম সেরা তারকা মনে করেন, টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে সূর্যকুমারের ক্যাচটা ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছিল। শামি বলেন, 'একসময়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল, ২০২৩ বিশ্বকাপ ফাইনালেরই পুনরাবৃত্তি হয়তো হতে চলেছে। কিন্তু সূর্যকুমার যাদবের ওই ক্যাচ ভারতকে বিশ্বকাপ এনে দেয়।'