বাংলার হয়ে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন মহম্মদ শামির। মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে চার চারটি উইকেট তুলে নিলেন বাংলার এই পেসার। মহম্মদ শামি ২০২৩ বিশ্বকাপ ফাইনালের পর চোটের জন্য আর খেলতে পারেননি। পায়ে অস্ত্রোপচার হওয়ায় পরেও অনেকটা সময় কাটাতে হয়েছে মাঠের বাইরে। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির তত্ত্বাবধানে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিনি। রঞ্জি মরসুম শুরু হওয়ার আগেই সিএবি-র এক অনুষ্ঠানে এসে বাংলার হয়ে খেলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
সেই কথা রেখেছেন শামি। প্রত্যাবর্তনের ইনিংস শুরু করলেন সেই বাংলা থেকেই। আর প্রথম ইনিংসেই মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে তুলে নিলেন চার উইকেট। ১৯ ওভার বল করে চারটে মেডেন দিয়ে মাত্র ৫৪ রানে তুলে নেন এই চার উইকেট। ফলে ১৬৭ রানেই শেষ হয়ে যায় মধ্যপ্রদেশের ইনিংস। প্রথম দিন ১০ ওভার বল করেও উইকেট পাননি। তবে দ্বিতীয় দিনে দারুণভাবে ফেরত আসেন শামি। ৯ ওভারেই তুলে নেন চারটি উইকেট। মূলত টেল-এন্ডারদেরই প্যাভিলিয়নে ফেরালেন শামি, যদিও তাতে কৃতিত্ব এতটুকু খাটো হওয়ার নয়৷
দ্বিতীয়দিন সকালে শামির প্রত্যাবর্তনে প্রথম শিকার শুভম শর্মা ৷ মধ্যপ্রদেশ অধিনায়ককে ৮ রানে ফেরান তারকা পেসার। এরপর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আরও তিন উইকেট ঝুলিতে পুরে নেন বঙ্গ পেসার ৷ সারাংশ জৈন এবং কুলওয়ান্ত খেজোরিয়াকে বোল্ড করেন শামি ৷ কুমার কার্তিকেয়া ফেরেন কট বিহাইন্ড হয়ে ৷ কেউই দু'অঙ্কে পৌঁছতে পারেননি ৷
এর আগে শাহবাজ আহমেদের ৯২ রান ও ক্যাপ্টেন অনুষ্টুপ মজুমদারের দারুণ ৪৪ রানের উপর ভিত্তি করে ২২৮ রান করে বাংলা দল। ফলে প্রথম ইনিংসে লিড পায় বাংলা দল। ফলে তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করে ফেলেছে তারা। প্রথমদিনের শেষ ব্য়াকফুটে থাকা বাংলা শামি নেতৃত্বাধীন বোলিং বিভাগের দুরন্ত কামব্য়াকে পুরো পয়েন্টের স্বপ্ন দেখতেই পারে ৷ কারণ এই ম্য়াচে পুরো পয়েন্ট বাংলার পরবর্তী পর্বে যাওয়ায় প্রশ্নে সহায়ক হতে পারে ৷