ফের এগিয়ে গিয়েও হারল মহমেডান স্পোর্টিং। মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের পর এবার কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধেও হেরেই মাঠ ছাড়তে হল সাদা-কালো ব্রিগেডকে। ২-১ গোলে হেরে গেল আন্দ্রে চেরনিশভের দল। তবে আরও বেশি লজ্জা দিল, দর্শকদের আচরণ। আইএসএল-এ দলে চলে এলেও ময়দানের পুরনো রোগ সারানো গেল না। এর জেরে কিছুক্ষণ বন্ধ থাকল ম্যাচ।
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলার পক্ষপাতি চেরনিশভ। এদিনও শুরু করতে চেয়েছিলেন সেভাবেই। কিন্তু কেরালার প্রীতম কোটালরা সেভাবে জায়গা ছাড়েননি ফ্রাঙ্কাদের। ব্রাজিলীয় এই স্ট্রাইকারের মধ্যে ছটফটানি থাকলেও গোলের দেখা পাননি। মহামেডান বক্সের আশেপাশে ঘুরলেও গোলের মুখ খুলতে সমস্যায় পড়ছিল। এর মধ্যে চাপ বাড়ে ডিফেন্ডার জোসেফ আদজেই চোট পেয়ে উঠে যাওয়ায়। সেই জায়গায় নামলেন নবাগত ওগিয়ের। যদিও তার খানিকক্ষণের মধ্যেই এগিয়ে যায় সাদা-কালো ব্রিগেড। বক্সের মধ্যে বল নিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন ফ্রাঙ্কা। কেরালার গোলকিপার তাঁকে ফাউল করলে পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি। সেখান থেকে জালে বল জড়িয়ে দেন কাসিমোভ।
প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ গোলেই। তবে সেক্ষেত্রেও ভাগ্য সাথ দিয়েছিল মহমেডানের। কারণ জিমিনেজের শট বারে লেগে ফেরে। দ্বিতীয়ার্ধে নিশ্চিত পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হয় মহমেডান। আর তারপরেই ক্ষেপে ওঠে গ্যালারি। তবে তখনও তাতে খেলা বন্ধ করার মতো পরিস্থিতি হয়নি। প্রায় ফাঁকা অবস্থায় গোল করে গেলেন কেরালার পেপরা। মহামেডান দ্বিতীয় গোল হজম করল ৭৫ মিনিটে। বাঁদিক থেকে ভেসে আসা ক্রস যখন জিমেনেজ হেড করছেন, তখন তাঁকে কেউ মার্কই করল না। ফলে এগিয়ে যায় কেরল। এরপরেই মাঠে ও কেরল সমর্থকদের দিকে বোতল ও নানা জিনিস ছুড়তে থাকেন। এর জেরে সাময়িক মতাচ বন্ধ থাকে।
ম্যাচে নোয়া সাদাউরা একাধিক গোল মিস না করলে লজ্জা আরও বাড়ত। এগিয়ে গিয়েও কেরালের কাছে ২-১ গোলে হারল চেরনিশভের ছেলেরা। লিগ টেবিলে রইল ১১তম স্থানে।