Mohun Bagan: কাউকো ফিরতেই চেনা ছন্দে মোহনবাগান, নর্থইস্টকে হারালেন কামিন্সরা

পিছিয়ে গিয়েও ম্যাচ জেতাটা যেন অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছে মোহনবাগান। শুরুতে ঝাঁকুনি খেলেও কীভাবে প্রতিপক্ষকে পাল্টা দিতে হয় তা শনিবারের যুবভারতীতে বুঝিয়ে দিল তারা। নর্থইস্টের  বিরুদ্ধে  ব্যবধানে জয় পেল আন্তনিও লোপেজ হাবাসের দল।

Advertisement
কাউকো ফিরতেই চেনা ছন্দে মোহনবাগান, নর্থইস্টকে হারালেন কামিন্সরা মোহনবাগান দল
হাইলাইটস
  • ৪-২ গোলে জিতল মোহনবাগান
  • ২ নম্বরে উঠে এল সবুজ-মেরুন

পিছিয়ে গিয়েও ম্যাচ জেতাটা যেন অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছে মোহনবাগান। শুরুতে ঝাঁকুনি খেলেও কীভাবে প্রতিপক্ষকে পাল্টা দিতে হয় তা শনিবারের যুবভারতীতে বুঝিয়ে দিল তারা। নর্থইস্টের  বিরুদ্ধে ৪-২ ব্যবধানে জয় পেল আন্তনিও লোপেজ হাবাসের দল।

৫ মিনিটেই গোল পেয়ে যায় নর্থ ইস্ট। ডানদিক থেকে উঠে আসা জিতিনকে বাধা দিচ্ছিলেন তরুণ দীপেন্দু বিশ্বাস। জিতিন ক্রস করতে এলে শরীর ছুড়ে দেন বাঙালি ডিফেন্ডার। পেনাল্টি বক্সের মধ্যেই বল কনুইয়ে লাগে দীপেন্দুর। পেনাল্টি দেন রেফারি। বিতর্ক থাকবে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে। জোরালো হবে ভার নিয়ে আসার দাবিও। তবে টমি ইউরিচ কাজের কাজ করে যান। স্পট কিক থেকে নেওয়া শট বিশাল টাচ করলেও গোলের বাইরে ফেলতে পারেননি।

প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে সমতা ফেরান লিস্টন কোলসো। দিমিত্রি পেত্রাতোসের জায়গা পরিবর্তন করা লিস্টন চলে আসেন ডানদিকে। আর তাতেই কাজের কাজটা সেরে ফেলে সবুজ-মেরুন। এরপরেই পেত্রাতোসের ফ্রিকিক থেকে কাউকো হয়ে বল যায় কামিন্সর কাছে ৬ গজ বক্সের ভিতর ট্যাপ ইন করে গোল করে যান বিশ্বকপার।

তবে সেই এগিয়ে থাকা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ফের গোল করেন টমি ইউরিচ। সেইটা দীপেন্দুকে বোকা বানিয়েই ভলিতে বল জালে জড়ান তিনি। ৫৩ মিনিটে পেত্রাতোসের গোলে ফের এগিয়ে যায় মোহনবাগান। কামিন্সর পাস থেকে জোরালো শটে গোল করেন তিনি। ৫৭ মিনিটে কাউকো দুরন্ত থ্রু পাস বাড়ান সহাল আব্দুল সমাদকে। একেবারে ফাঁকায় থাকা সহাল বলটা গোলে ঠেলতে ভুল করেননি। তবে এরপর ফিলিপটুকে নামালেও ব্যবধান কমাতে পারেনি নর্থইস্ট।

ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে পেদ্রো বেনালি বলেছিলেন, 'ডায়নোসরের (মোহনবাগান) বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছি।' ম্যাচের শুরুতে তেমনটা মনে না হলেও সময় জত গড়িয়েছে ততই তা প্রকট হয়েছে। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ দিকে যে ঝড় শুরু হয়েছিল, তা দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে তা কিছুটা থেমে যাওয়ায় একটা গোল নর্থইস্ট করেছিল বটে, তবে তাতে সমস্যা হয়নি মোহনবাগানের। সাহালের গোল সেই কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দেয়। 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement