Mohun Bagan Club: '১৩৫ বছরের প্রাচীন ক্লাবের বারপুজো তৃতীয় বর্ষ,' কটাক্ষে কে কত বড় মোহনবাগানী! ভোট-যুদ্ধ শুরু?

মোহনবাগানে (Mohun Bagan Club) নির্বাচনের দামামা কি তবে বেজে গেল? ২০২৫-এর মার্চে ভোট হওয়ার কথা সবুজ-মেরুন ক্লাবে। তার আগেই প্রতিবাদে সরব উত্তরের মোহনবাগান ফ্যান ক্লাব। মোহনবাগানের হয়ে দীর্ঘদিন কাজ করা নুরি দাকে ক্লাবের চাকরি থেকে ছাড়িয়ে দেওয়া নিয়ে প্রথমবার সরব হয়েছিলেন উত্তরের মোহনবাগান ফ্যান ক্লাবের সদস্যরা। আর এবার মোহনবাগানের বার পুজোর আমন্ত্রণ পত্র নিয়ে আপত্তির কথা জানালেন তাঁরা। 

Advertisement
'১৩৫ বছরের প্রাচীন ক্লাবের বারপুজো তৃতীয় বর্ষ,' কটাক্ষে কে কত বড় মোহনবাগানী! ভোট-যুদ্ধ শুরু?মোহনবাগান ক্লাব

মোহনবাগানে (Mohun Bagan Club) নির্বাচনের দামামা কি তবে বেজে গেল? ২০২৫-এর মার্চে ভোট হওয়ার কথা সবুজ-মেরুন ক্লাবে। তার আগেই প্রতিবাদে সরব উত্তরের মোহনবাগান ফ্যান ক্লাব। মোহনবাগানের হয়ে দীর্ঘদিন কাজ করা নুরি দাকে ক্লাবের চাকরি থেকে ছাড়িয়ে দেওয়া নিয়ে প্রথমবার সরব হয়েছিলেন উত্তরের মোহনবাগান ফ্যান ক্লাবের সদস্যরা। আর এবার মোহনবাগানের বার পুজোর আমন্ত্রণ পত্র নিয়ে আপত্তির কথা জানালেন তাঁরা। 

প্রতিবাদ জানিয়ে উত্তরের মোহনবগানের পক্ষ থেকে লেখা হয়েছে, 'নববর্ষের প্রথম প্রভাতে বারপুজো চিরকালীন মোহনবাগানী সংস্কৃতি তথা বৃহত্তর অর্থে ময়দানী সংস্কৃতি। এই উৎসব চিরদিন খেলোয়াড়, সভ্য-সমর্থক এবং কর্মকর্তাদের মিলনোৎসব রূপেই পালিত হয়ে এসেছে। এক্ষেত্রে ভিন্ন ভাবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের আড়ম্বর না থাকলেও সর্বস্তরের ক্লাবদরদীদের মুখরিত অংশগ্রহণে আবেগের অভাব ছিল না। সেই ইতিহাস, ঐতিহ্য আর আবেগকে নস্যাৎ করার অধিকার যে কোন কমিটির পক্ষেই ক্ষমাহীন ধৃষ্টতা। অথচ আমরা দেখলাম আগামী ১লা বৈশাখ মোহনবাগান ক্লাবের বারপুজার আমন্ত্রণ পত্রে এ বছরের উৎসবকে তৃতীয় বর্ষ বলে উল্লেখ করে মোহনবাগানের বর্তমান কমিটি বুঝিয়ে দিলো তাদের কাছে ১৩৫ বছরের প্রাচীন মোহনবাগানী ঐতিহ্য সম্পূর্ণ অবজ্ঞেয়। নিজেদের ক্লাব পরিচালনার তিন বছরের আগের মোহনবাগানী সংস্কৃতিকে অস্বীকার করে সীমাহীন ঔদ্ধত্যের দেখিয়ে এরা বোঝাতে চায় ১৩৫ নয় মোহনবাগানী ঐতিহ্যের বয়স মাত্র ৩ বছর।'

উত্তরের মোহনবাগানের সদস্যরা জনাান, 'গত তিন বছরে আমরা কোনও প্রতিবাদ তো করিনি? এখন করছি। নুরি দার সঙ্গে যা হল, তাকে তো কোনও ভাবেই সমর্থন করা যায় না। চৈত্র মাসে কোনও বাঙালি বাড়ি থেকে কুকুর-বিড়ালকেও তাড়িয়ে দেওয়া হয় না। সেখানে এমন একজন কর্মীকে মাত্র কয়েকটা টাকা দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হল? আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি নুরিদার পাশে দাঁড়াতে। দেশ বিদেশ থেকে প্রচুর সদস্য সমর্থক সাহায্য পাঠাচ্ছেন। এটাই আমাদের সাফল্য।' 

পাশাপাশি বার পুজোর আমন্ত্রণপত্র নিয়েও মুখ খুলেছেন তাঁরা। বলেন, 'মাত্র তিন বছর ধরে তো বার পুজো হচ্ছে এমনটা নয়। তিন বছর আগে থেকে এই দিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। তা হলে আমন্ত্রণ পত্রে এমনটা লেখা হল কেন?' তবে কি নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করছে এই ফ্যান ক্লাব? এখনই এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাইছেন না তাঁরা। বলেন, 'আমরা কালকের বার পুজোতে যাব। আহ্বান করব বাকি সকলে আসুন। পাশাপাশি সোমবারের ম্যাচেও আসতে অনুরোধ জানাব।'      

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement