মোহনবাগান সমর্থক উমাকান্ত পালোধির কথা আজও ময়দানে শোনা যায়। ১৯৭৫ সালে ইস্টবেঙ্গলের কাছে ৫ গোলে হারের দুঃখ মানতে না পেরে আত্মহত্যা করেছিলেন তিনি। মোহনবাগান নিয়ে আবেগের কাহিনী এখানেই শেষ নয়, খেলা থাকলে মাঠে যেতেই হবে। দলকে সামনে থেকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রিয়জনের মৃত্যু শোক নিয়েই ধরা গলায় মাঠে যেতে দেখা যায় সমর্থকদের। কলকাতা ফুটবলের এই চিত্র বারেবারে ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর এবার নিজের বিয়ের মাঝেই মোবাইলে প্রিয় দলের খেলা দেখতে দেখা গেল এক যুবককে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবিও এবার ভাইরাল। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বরের বেশে বিয়ে করতে এসেছেন সেই যুবক। কিন্তু তাঁর মন পড়ে রয়েছে যুবভারতীতে। প্রিয় দল মাঠে নেমেছে যে, জিততে হবে ম্যাচ। নিজের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিনেও তাই নিজের প্রিয় দল মোহনবাগানকে উপেক্ষা করতে পারেননি সেই যুবক। নিজের বিয়ের অনুষ্ঠানেও মোহনবাগান নিয়ে তাঁর আবেগ দেখে সকলেই অবাক। দল জিতেছে তাই তিনিও যে বেশ খুশি হবেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবুও ফুটবল নিয়ে এমন মাতামাতি ফুটবলের মক্কাতেই দেখা যায়।
প্রথম লেগে ওড়িশার কাছে ১-২ গোলে হারতে হলেও, রবিবারের ম্যাচে দাপট দেখিয়েই জয় তুলে নেয় মোহনবাগান। এদিন প্রায় নড়তেই পারেননি রয় কৃষ্ণ, আহমেদ জাহুরা। সুযোগ তৈরি করলেও, গোলমুখ খুলতে না পারায় ২-০ গোলে হারতে হয় তাদের। সেমিফাইনালে ম্যাচের সেরা হন লিস্টন কোলাসো। ম্যাচ যখন এক্সট্রা টাইমের দিকে গড়াতে চলেছে বলে সকলেই ধরে নিয়েছিলেন, তখনই বাজিমাত করেন চোট সারিয়ে ফেরা সাহাল আব্দুল সামাদ। তবে সেই গোলের কারিগর লিস্টনই। ৪ এপ্রিল ঘরের মাঠেই ফাইনাল খেলতে নামবে মোহনবাগান। তবে কাদের বিরুদ্ধে ম্যাচ তা এখনও ঠিক হয়নি। সোমবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালের পর প্রতিপক্ষ কারা হবে তা জানতে পারবে মোহনবাগান।
এই মরসুমে ডুরান্ড কাপ জেতার পর, সুপার কাপে ব্যর্থ হলেও, আইএসএল লিগ শিল্ড জিতেছে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। এবার লক্ষ্য আইএসএল ট্রফি জেতা। তা হলে তিনটি ট্রফি ঘরে তুল্বে সবুজ-মেরুন।