আইএসএল-এ 'অপরাজিত' তকমাটা ঘুচে গিয়েছিল আগের ম্যাচেই। আর এবার এফসি গোয়ার কাছে ৪-১ গোলে হেরে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট কোচ জুয়ান ফেরান্দোকে শুনতে হল 'গো ব্যাক' স্লোগান। ৭০ কোটির দল নিয়ে এএফসি কাপে হার, আর এবার লিগ যত গড়াচ্ছে ততই যেন ফেকাসে লাগছে সবুজ-মেরুনকে। আর তাতেই ক্ষুব্ধ সবুজ-মেরুন সমর্থকরা।
এ বারের আইএসএলে শুরুটা বেশ ভালই করেছিল মোহনবাগান। প্রথম পাঁচ ম্যাচই জিতেছিল। এরপর ড্র। নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে জিতলেও, মুম্বইয়ের মাঠে হার, আর তিন তারকা ফুটবলারের লাল কার্ড যেন সবটাই ওলটপালট করে দিল। রেফারির সিদ্ধান্ত ক্ষোভ থাকতেই পারে। তবে এত টাকা খরচ করে টিম বানিয়ে লিগ শিল্ড বা এএফসি কাপ জিততে না পারলে সমর্থকরা তো হতাশ হবেনই।
কী বলছেন সমর্থকরা?
ফেরান্দোর সাজানো প্রথম একাদশ নিয়ে ক্ষুব্ধ ফ্যানরা। তাঁদের প্রশ্ন, কেন বসানো হল হুগো বুমোসকে? বারবার ব্যর্থ হলেও, কেন খেলানো হচ্ছে 'বিশ্বকাপার' জেসন কামিন্সকে? কী কারণে গোয়া ম্যাচে পাঁচ পরিবর্তন করে ফেললেন জুয়ান? আসলে শনিবার শুরুটা ভাল করলেও, ১০ মিনিটের মাথায় গোল খেয়ে গিয়েই সবটা তালগোল পাকিয়ে ফেলেন শুভাশিস বসুরা। নেতা হলেও, তাঁর নেতৃত্বে যে মোহনবাগান দলটা ঘুরে দাঁড়াতে পারে তা একবারের জন্যও মনে হয়নি। হয়েছেও ঠিক সেটাই। অন্যদিকে, প্রথমার্ধের শেষে দুরন্ত ফ্রিকিক-এ গোল করে মোহনবাগানকে কিছুটা লড়াইয়ে ফিরিয়েছিলেন দিমিত্রি পেত্রাতস। তবে দলে আর কেউই ছিলেন না যারা বাকি কাজটা করতে পারেন। এতেই সমস্যা হয়ে যায়।
৪২ মিনিটে এফসি গোয়া ২-০ এগিয়ে যাওয়ার পর রাস্তা আরও কঠিন হয় মোহনবাগানের। নোয়ার পা থেকে দারুণ আক্রমণ শুরু হলে ভিক্টর রড্রিগেজের এই গোলের ক্ষেত্রে অনেকটাই কৃতিত্ব মোহনবাগানের প্রাক্তন ফুটবলার কার্ল ম্যাকহিউয়ের। তাঁর একটা ফ্লিক গোয়ার গোলের রাস্তা খুলে দেয়। দীপক টাংরিরা তখন দাঁড়িয়ে দেখছেন। প্রথমার্ধের শেষদিকে আবারও সবুজ-মেরুন ডিফেন্সকে ঝাঁকুনি দিয়ে গোল করে যান নোয়া। একটা টার্নেই সব শেষ। যদিও অতিরিক্ত সময়ে পেত্রাতোসের দুরন্ত ফ্রিকিক থেকে ব্যবধান কমায় মোহনবাগান। ম্যাচের শেষদিকে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেয় গোয়া। ম্যাচ শেষ হয় ৪-১ গোলে।
এরপর কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে খেলবে মোহনবাগান। আর তারপরেই সুপার কাপের ডার্বি। ফলে টানা দুই ম্যাচে হার বেশ চিন্তায় রাখছে মোহনবাগান টিম ম্যানেজমেন্টকে।