রসগোল্লার জিআই ট্যাগ নিয়ে বিস্তর লড়াই হয়েছে বাংলা ও ওড়িশার মধ্যে। সেই সমস্যা গড়িয়েছিল আদালত অবধিও। রসগোল্লা কার? বাংলা না ওড়িশার? এই মামলায় বাংলার পক্ষেই রায় দেয় আদালত। ফের সেই বিতর্ক উস্কে দিলেন মোহনবাগান সমর্থকরা।
মঙ্গলবার এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ওড়িশা এফসি-র মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। কলকাতা থেকে বাসে, ট্রেনে চেপে বহু সমর্থক মোহনবাগানকে সমর্থন করতে ছুটে গিয়েছিলেন ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে। সেখানেই দেখা গেল এই দৃশ্য। মোহনবাগান সমর্থকদের টিফোতে দেখা যায়, ওয়েবসিরিজের জনপ্রিয় চরিত্র একেন বাবুকে। তাঁর হাতে রসোগল্লার হাড়ি। আর তাতে সবুজ-মেরুন ও কালো কালিতে লেখা রয়েছে, ‘রসগোল্লা কিন্তু আমাদের বুঝলে ভায়া’। মেরিনার্স বেস ক্যাম্পের পক্ষ থেকে এই টিফো বানানো হয়েছে। ম্যাচেও দাপট দেখিয়ে জিতেছে সবুজ-মেরুনই। এরপর আবার রসোগোল্লা নিয়ে খোঁচাও শুনতে হল ওড়িশা সমর্থকদের।
ওড়িশা এফসি-কে তাদের ঘরের মাঠে ৪-০ গোলে হারায় মোহনবাগান। শুরু থেকে শেষ অবধি ম্যাচের রাশ আলগা হতে দেননি জুয়ান ফেরান্দোর ফুটবলাররা। প্রথমার্ধে গোল না এলেও মৌরতাদা ফল লাল কার্ড দেখে বেরিয়ে যাওয়ায় অধিকাংশ সময় ১০ জনেই খেলতে হয় ওড়িশাকে।
৪০ মিনিটের মাথায় যদিও রয় কৃষ্ণ আক্রমণে নড়ে গিয়েছিল মোহনবাগান ডিফেন্স। বাকি সময়টা জুড়েই মোহনবাগান আধিপত্য দেখিয়েছে। হুগো বুমোসরা সেই সুযোগ নষ্ট না করলে ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। ম্যাচের ৭ মিনিটেই আক্রমণ তুলে এনেছিল মোহনবাগান। এরপরেও নিরন্তর আক্রমণ করলেও গোলটাই আসছিল না। লকগেট ওপেন করলেন সাহাল আবদুল সামাদ।
দিমিত্রি জোড়া গোল এবং লিস্টন কোলাসোর আরও একটা গোলে ম্যাচ জেতে মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দুরন্ত গোল করলেন সামাদ। ৬৮ মিনিটে দুরন্ত গোল করলেন দিমিত্রি। প্রথমে দুরপাল্লার শট নেন সামাদ। সেই বলটি ওড়িশার গোলরক্ষকের হাতে লেগে বলটি দিমিত্রির পায়ে যায়। সেখান থেকে কোনও ভুল করেননি তারকা ফুটবলার। মনবীরের ক্রস একেবারে লিস্ট কোলাসোর মাথায় ঠিকানা লেখা ছিল। হেডে দারুণ গোল করে মোহনবাগানের জন্য ব্যবধান বাড়িয়ে নেন লিস্টন কোলাসো। ৮১ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন দিমিত্রি। ওড়িশার খারাপ ডিফেন্সকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। ৪-০ গোলে এগিয়ে রয়েছে মোহনবাগান।