৮ কি তবে লাকি নম্বর? টানা সাত ডার্বি হারের পর, মোহনবাগানকে (Mohun Bagan Super Giant) হারিয়ে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (Emami East Bengal)। আর এবার সেই ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালেই টানা সাত ম্যাচ মুম্বইকে হারাতে না পারলেও, অষ্টম ম্যাচেই জ্বলে উঠল সবুজ-মেরুন শিবির। ম্যাচের আগে হুগো বুমোসও জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁরা চির প্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলের কাছ থেকেই অনুপ্রেরণা খুঁজছেন। রবিবারের যুবভারতীতে দেখা গেল ঠিক সেটাই। মুম্বইকে ৩-১ গোলে হারিয়ে দিল মোহনবাগান। পৌঁছে গেল ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে।
ম্যাচের ১০ মিনিটেই এগিয়ে যায় মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। পেনাল্টি থেকে গোল করেন জেসন কামিন্স। পেনাল্টি বক্সের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ান বিশ্বকাপারকে ফেলে দেন মুম্বই গোলকিপার পূর্বা লাচেনপা। স্পট কিক থেকে গোল করে যান কামিন্স। গোল খাওয়ার পর কিছুটা নড়েচড়ে বসে দেস বাকিংহামের ছেলেরা। ১৬ মিনিটে প্রথমবার আক্রমণ তুলে আনে আইএসএল লিগ শিল্ড চ্যাম্পিয়নরা। ২৩ মিনিটে বিপিনের পাস থেকে শট করেন পেরেরা। তবে তাঁর শট বাইরে চলে যায়। যদিও পরের মিনিটেই গোল শোধ করে দেয় মুম্বই। গোটা মোহনবাগান ডিফেন্সকে দাঁড় করিয়ে গোল করে যান পেরেরা দিয়াস। তাঁর গোলে কিছুটা ভাগ্যের সহায়তাও ছিল।
হেক্টর উস্তের সামনে থেকে মাথায় বল লাগিয়ে গোল করেন মুম্বই ফুটবলার। যদিও প্রথমার্ধেই ফের এগিয়ে যায় মোহনবাগান। ৩০ মিনিটে হুগো বুমোসের ক্রস থেকে হেডে গোল করে যান মনবীর সিং। প্রথমার্ধের শেষদিকে বেশ কিছু সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল মুম্বই। দ্বিতীয়ার্ধেও শুরুর দিকে ফ্রিকিক পায় মুম্বই। তবে সেখান থেকে গোল হয়নি। পেরেরা দিয়াসের শট অল্পের জন্য বাইরে যায়। তবে ম্যাচে রেফারিং নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। পরিষ্কার পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হয়েছে দুই দলই।
৫৮ মিনিটে সাদিকু সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। পরিবর্ত হিসেবে নামা বিক্রম প্রতাপ সিং ভুল করে বসেন। সেখান থেকে ফাঁকায় বল পেলেও গোল করতে পারেননি সাদিকু। বল চলে যায় মাঠের বাইরে। এর পরেই আনোয়ার আলির গোলে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। ৬৩ মিনিটে ডানদিক থেকে আশিক ক্রুনিয়ানের ক্রস থেকে মাথা ছুঁয়ে গোল করেন আনোয়ার আলি। ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকলেও হেডে এমন গোল করা সহজ ছিল না। এই গোলের পরেই সাদিকুকে তুলে নিয়ে দিমিত্রি পেত্রাতোসকে নামিয়ে দেন জুয়ান। শেষদিকে বেশ কিছু সুযোগ পেলেও ব্যবধান কমাতে পারেনি মুম্বই।