চ্যাম্পিয়নের মতোই ইন্ডিয়ান সুপার লিগ অভিযান শুরু করল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। নবাগত পঞ্জাব এফসিকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দিল ডুরান্ড চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের শুরু থেকেই মোহনবাগান আক্রমণের সামনে খাবি খায় পঞ্জাব রক্ষণ। ম্যাচের ১০ মিনিটেই এগিয়ে যায় মোহনবাগান। আশিস রাইয়ের মাইনাস ধরেন সাহাল। বল ছাড়তে সময় নষ্ট করেননি তিনি। বল পেয়ে গোল করেন বিশ্বকাপার জেসন কামিন্স।
এরপরের গোল দিমিত্রি পেত্রাতোসের। জেসন কামিন্সের থ্রু বল ধরে অনবদ্য দৌড় লিস্টন কোলাসোর। এক সময় তাঁর সামনে শুধুই গোলকিপার। লিস্টন যে জায়গায় চলে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে শট নিলে গোলকিপার তা শরীর ছুড়ে আটকে দিতে পারতেন। চিপ শট করলে ক্রসবারের উপর দিয়েও যেতে পারত। কোনটাই করেননি তিনি। টিম গেম খেলে ব্যবধান বাড়াতে সাহায্য করলেন লিস্টন। ব্যাক পাস করেন তিনি। বল চলে যায় দিমিত্রি পেত্রাতোসের কাছে। তিন কাঠির মধ্যে বল রাখার কাজটা পেত্রাতোস বরাবরই ভালো করেন। সেটাই করেছেন তিনি। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান।
দ্বিতীয়ার্ধে গ্লেন মার্টিন্সের ভুলে গোল খেয়ে যায় মোহনবাগান। ৫৩ মিনিটে আই লিগে পঞ্জাব এফসির গত মরশুমের সর্বোচ্চ স্কোরার লুকা মাচেন আইএসএলেও গোল পেলেন । গোল খেয়েও ডিফেন্সের রাস্তায় হাঁটেনি মোহনবাগান। এর মধ্যেই এসে যায় তৃতীয় গোলও। এখানেও দিমিত্রির অবদান। তাঁর পাস থেকে প্রথম টাচেই গোল করে যান পরিবর্ত হিসেবে নামা মনবীর সিং।
গোল সংখ্যা না বাড়লেও আক্রমণ করে গিয়েছে জুয়ান ফেরান্দোর দল। পাল্টা আক্রমণে মাঝে মধ্যে উঠে এলেও ব্যবধান কমাতে পারেনি পঞ্জাব। তবে আইএসএল-এর প্রথম ম্যাচেই মোহনবাগানের মতো কঠিন প্রতিপক্ষ সামনে পড়লে সমস্যা তো হবেই। সেটাই হয়েছে পঞ্জাবের। তবে অনবদ্য পারফর্ম করেন মোহনবাগান ফুটবলাররা। পরিবর্ত হিসেবে নেমেই মনবীর যেভাবে গোল দিলেন, সেটাই বলে দিচ্ছে কতটা দক্ষ মোহনবাগানের এই দল। ডুরান্ড জেতার পর তার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে আত্মবিশ্বাসও। ফলে ছুটছে মোহনবাগান।