ডুরান্ড কাপের ফাইনালে নামার আগেই কলকাতা লিগ থেকে ছিটকে গেল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। কল্যাণীতে ক্যালকাটা কাস্টমস ও কালীঘাট স্পোর্টস লাভার্সের ম্যাচের উপর নির্ভর করছিল রাজ বাস্ফোরদের ভাগ্য। কাস্টমস জিতে যাওয়ায়, লিগ থেকে ছিটকে যায় মোহনবাগান।
এই গ্রুপে ১২ ম্যাচ খেলে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে ভাবনীপুর। ১১ ম্যাচ খেলে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদের আরও একটি ম্যাচ বাকি আছে। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল ও ভবানীপুর সুপার সিক্সে পৌঁছে গিয়েছে। এখন তৃতীয় দল হিসেবে কোন দল সুপার সিক্সে যাবে? এটাই এখন বড় প্রশ্ন। ১২ ম্যাচ খেলে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে কাস্টমস। ১০ ম্যাচ খেলে কালীঘাট স্পোর্টস লাভার্স ও মোহনবাগান ১৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে।
কাস্টমস হেরে গেলে মোহনবাগান দুটি ম্যাচে জিতে গেলে মোহনবাগান সুপার সিক্সে পৌঁছে যেতে পারত। এই ম্যাচ কাস্টমস ড্র করলে তাহলে তাদের পয়েন্ট হত ২২। আর বাকি দুই ম্যাচে মোহনবাগান জিতলে হত ২২ পয়েন্ট। সেক্ষেত্রে গোল পার্থক্যে সুপার সিক্সে পৌঁছে যেতে পারত মোহনবাগান। পাশাপাশি কালীঘাট স্পোর্টস লাভার্সেরও সুপার সিক্সে যাওয়ার সুযোগ এসে যেত। তবে সেক্ষেত্রে তাদের শেষ ম্যাচে মোহনবাগানকে হারাতে হত।
তবে কাস্টমস এই ম্যাচ জিতে যাওয়ায় তা হল না। এ মরসুমে শুরু থেকেই হোঁচট খেতে হয়েছে। বারবার দেগি কার্ডোজোর দল হেরেছে নয়ত ড্র করেছে। ফলে ধীরে ধীরে পিছিয়ে পড়তে থাকে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। পরে বেশকিছু ম্যাচ জিতলেও তা যথেষ্ট ছিল না। ঠিক যে সময় মোহনবাগান ছন্দ ফিরে পেল সেই সময়েই বিদায় নিতে হল তাদের। রিজার্ভ দল নামালেও, গত মরসুমে বেশ ভাল ছন্দে ছিল মোহনবাগান। তখন দলের দায়িত্বে ছিলেন বাস্তব রায়। তবে এবার সিনিয়র দলের দায়িত্ব বেশি হওয়ায় দেগি কার্ডোজোকে কোচ করা হলেও তিনি দলকে সুপার সিক্সে তুলতে পারলেন না।