চোট পাওয়া মোহনবাগান (Mohun Bagan) মিডফিল্ডার জনি কাউকোকে (Joni Kauko) হয়ত ছেড়েই দেওয়া হচ্ছে। তবে তাঁর জায়গায় কে আসবেন? তা নিয়েই শুরু হয়ে গিয়েছে জল্পনা। মোহনবাগান সূত্রের খবর, পাঁচ ফুটবলারের সঙ্গে কথা বলছে সবুজ-মেরুন ক্লাব।
শোনা যাচ্ছে, আপাতত এই পাঁচ ফুটবলারের মধ্যে এগিয়ে রয়েছেন আর্মান্দো সাদিকু (Armando Sadiku)। ২০১৬ সালে ইউরো কাপে (Euro Cup 2016) দুর্দান্ত গোল করেছিলেন আলবানিয়ার এই স্ট্রাইকার। জনি কাউকোও ইউরো কাপ খেলেই সবুজ-মেরুন শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন। দারুণ ভাবে মরশুম শুরু করলেও চোট পাওয়ায় দেশে ফিরতে হয় কাউকোকে। এরপর ভারতে এসে রিহ্যাব করলেও তাঁর সম্পূর্ণ সুস্থ হতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে। কিন্তু ততক্ষণে আইএসএল অর্ধেক শেষ হয়ে যাবে। সেই জন্যই বিকল্প ভাবনার পথে মোহনবাগান। সবুজ-মেরুন কর্তারা যদিও তাড়াহুড়ো করতে চাইছেন না। এমনিতেই একের পর এক তারকা সই করাচ্ছে তারা। সঙ্গে যোগ দিয়েছেন আন্তনিও লোপেজ হাবাসও।
এখন স্পেনের দ্বিতীয় ডিভিশনের ক্লাব কার্তাহেনার সঙ্গে চুক্তি রয়েছে সাদিকুর। এই মাসের শেষেই সেই ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। এরপরেই মোহনবাগানে আসতে পারেন সাদিকু। এমনটাই জানা যাচ্ছে। তবে কথাবার্তা চলছে বাকি চার তারকা ফুটবলারের সঙ্গেও। স্পেনের একাধিক ক্লাবে খেলেছেন সাদিকু। দীর্ঘ কেরিয়ারে বিভিন্ন সময় লেভন্তে, মালাগার মতো স্প্যানিশ ক্লাবে খেলেছেন। তাছাড়াও আলবানিয়া, সুইৎজারল্যান্ড, পোল্যান্ড, বলিভিয়া, তুরস্কের মতো দেশের ক্লাব দলের হয়ে খেলেছেন সাদিকু।
কলকাতা লিগের আগেই নতুন মরশুমের জার্সি প্রকাশ করবে মোহনবাগান। সেই জন্য ইতিমধ্যেই ফ্যানদের কাছ থেকে জার্সির ডিজাইন চেয়ে পাঠানো হয়েছে। যার ডিজাইন করা জার্সি পরে খেলবেন জেসন কামিন্সরা তাঁর জন্য স্পেশাল গিফটের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। দীর্ঘদিন পর কলকাতা ময়দানে সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে শুরু হচ্ছে লিগ। ফলে এই টুর্নামেন্ট ঘিরে এখন বাড়তি আবেগ দেখা যাচ্ছে ফ্যানদের মধ্যে। এর মধ্যেই যদি আইএসএল-এর আগে সাদিকুর সই করেন তবে আরও শক্তি বাড়বে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের।
সাদিক সই করলে দিমিত্রি পেত্রাতোস হয়ত নীচ থেকে খেলবেন। কারণ স্ট্রাইকার হিসেবে জেসন কামিন্স ও সাদিকু খেলতে পারেন। এমনিতেও পেত্রাতোস পজেটিভ স্ট্রাইকার নন। ফলে গোল করার ক্ষেত্রে বারেবারে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল মোহনবাগানকে। আর এবার যদি তাঁর সঙ্গে আলবানিয়ার এই স্ট্রাইকার যোগ দেন, তবে মোহনবাগানের ঝাঁজ আরও বাড়বে।