২০২৩-এর শেষটা একেবারেই ভাল হয়নি মোহনবাগানের। তবে নতুন বছরের শুরুতে দীর্ঘদিন চোট পেয়ে বাইরে থাকা আনোয়ার আলি অনুশীলনে ফিরছেন। এই খবরে অনেকটা স্বস্তি পেয়েছেন সবুজ-মেরুন সমর্থকরা। নতুন বছরে সুপার কাপ দিয়ে অভিযান শুরু করতে চলা মোহনবাগানে আরও কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে আরও এক চোট পাওয়া ফুটবলার সাহাল আব্দুল সামাদের ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তন। এএফসি এশিয়ান কাপে ভারতীয় দলের সঙ্গে গিয়েছেন মোহনবাগানের এই অ্যাটাকিং মিডিও। ফলে ফ্যানরা মনে করছেন সুপার কাপে না হলেও আইএসএল-এর দ্বিতীয় পর্বে ফিরবেন সাহাল।
সাহালের ফেরা খুব জরুরী
মোহনবাগানের দিক থেকে সাহালের ফেরা খুব জরুরী। মিডফিল্ডে আক্রমণ তৈরি হচ্ছে না। ফাঁকা জায়গায় বল দেওয়ার কাজটা একটা সময় হুগো বুমোসরা দারুণভাবে করলেও, প্রথম পর্বের শেষ তিন ম্যাচে তা দেখা যায়নি। ফলে হারের হ্যাটট্রিকের সামনে পড়তে হয়েছে সবুজ-মেরুনকে। সাহাল বল ধরে খেলতে পারেন, আবার সতীর্থকে ঠিকানা লেখা পাসটাও বাড়াতে পারেন। তবে কবে ফিরবেন তিনি তা এখনই বলা যাচ্ছে না। লিগামেন্টে চোট। ফলে ফিরতে সময় লাগবে। তবুও তাঁকে দলের সঙ্গে রাখতেই হয়ত সাহালকে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্টিম্যাচ।
কবে ফিরতে পারেন সাহাল?
যে ধরণের চোট সাহাল পেয়েছেন, তাতে তাঁর মাঠে ফিরতে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ অবধি অপেক্ষা করতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে এশিয়ান কাপ তো বটেই, মোহনবাগানের হয়ে আইএসএল-এর দ্বিতীয় পর্বের প্রথম কিছু ম্যাচেও হয়ত তাঁকে পাওয়া যাবে না। হুগো বুমোসরা দ্রুত ফর্মে না ফিরলে সমস্যায় পড়তে হবে সবুজ-মেরুনকে। সুপার কাপের আগে বিদেশি ফুটবলার বদল করার কোনও পরিকল্পনা নেই মোহনবাগানের। কারণ দলের সাত ফুটবলার ভারতের হয়ে খেলতে চলে গিয়েছেন। চোট আঘাত সমস্যা পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা যায়নি। ফলে এখনই দল নিয়ে নতুন কোনও পরিকল্পনায় হাঁটতে নারাজ কোচ জুয়ান ফেরান্দো। যদি কোনও বদলের দরকার তা হলে তা করা হবে সুপার কাপের পরেই।
কবে ফিরতে পারেন আনোয়ার?
সুপার কাপের প্রস্তুতির জন্য ৩ জানুয়ারি থেকে অনুশীলন শুরু করছে মোহনবাগান। মনে করা হচ্ছে সেইদিনই মাঠে দেখা যেতে পারে তারকা স্টপারকে। তবে অনুশীলনে ফিরলেও সুপার কাপে তাঁকে খেলানো যাবে কিনা তা নিয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি জুয়ান ফেরান্দো। মোহনবাগান সুপার জায়েন্টও তাঁর মাঠে ফেরার ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করতে নারাজ। তাঁকে আইএসএল-এ পেতে মরিয়া সবুজ-মেরুন। ফেরান্দো আসন্ন সুপার কাপে সাত জন ফুটবলারকে পাবেন না। এই অবস্থায় দলের ছয় বিদেশি ভরসা। তাদেরও পারফরম্যান্স যে নজরদারিতে নেই তা কিন্তু নয়। সাদিকু কামিন্স এমনকি হুগো বুমোসও ম্যানেজমেন্টের নজরদারিতে।